বিল্লাল বিন কাশেম:
মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা কাল ও স্থান পেরিয়ে চিরকাল প্রেরণার উৎস হয়ে থাকে। আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা.) এর বিদায় হজের ভাষণ তেমনই এক অনন্য ঐতিহাসিক ঘোষণা, যা কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য ন্যায়, শান্তি ও মানবাধিকারের সার্বজনীন নীতিমালা হিসেবে বিবেচিত। ১০ হিজরি সালে রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনের শেষ দিকে যে হজ সম্পন্ন করেন, সেটিই তাঁর প্রথম ও শেষ হজ—যা পরবর্তীতে ইসলামী ইতিহাসে “হজ্বাতুল বিদা” নামে পরিচিত হয়। এই হজে তিনি যে ভাষণ প্রদান করেন, তা মানবাধিকার, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারী-পুরুষের মর্যাদা, এবং আধ্যাত্মিক জীবনের সর্বোচ্চ রূপরেখা হিসেবে আজও সমধিক প্রাসঙ্গিক।
বিদায় হজের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
৬৩০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পর ইসলামের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় পরিসর সুসংহত হয়। ১০ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা করেন যে তিনি হজ পালনে যাচ্ছেন। এই সংবাদ আরবজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, এবং বিভিন্ন গোত্র, অঞ্চল ও জাতির মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে মদিনা থেকে মক্কা অভিমুখে যাত্রা করে। ইতিহাসবিদরা অনুমান করেন, প্রায় এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার (১,১৪,০০০) সাহাবি এই হজে অংশগ্রহণ করেন।
এই হজ ছিল একদিকে ইসলামী সমাজব্যবস্থার পূর্ণতা লাভের সময়, অন্যদিকে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পৃথিবী ত্যাগের পূর্বাভাসও এতে নিহিত ছিল। কারণ, ভাষণের সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন- “হয়তো এ বছর পর আমি তোমাদের সঙ্গে আর দেখা করতে পারব না।” এই বাক্যটি মুসলমানদের অন্তরে গভীর বিষাদের ছায়া ফেলেছিল।
ভাষণের স্থান ও সময়:
বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করা হয় আরাফাতের ময়দানে, ৯ জিলহজ্জ, ১০ হিজরি (৬৩২ খ্রিস্টাব্দে)। সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার আগে উটের পিঠে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)এই ভাষণ দেন। পরবর্তীতে তিনি মিনা ও মুজদালিফাতেও সংক্ষিপ্ত ভাষণ প্রদান করেন, যা বিদায় হজের বার্তার পরিপূরক হিসেবে বিবেচিত।
ভাষণের মূল বক্তব্যসমূহ:
১. তাওহিদের ঘোষণা: ভাষণের সূচনাতেই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানবজাতিকে স্মরণ করিয়ে দেন—“হে মানুষ! তোমাদের রব একজন, তোমাদের পিতা আদম একজন।” তিনি আল্লাহর একত্ব ও মানবসমতার ভিত্তি স্থাপন করে দেন। তিনি বলেন, “তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কায়েম করো, রমজানের রোজা রাখো, যাকাত আদায় করো এবং তোমাদের শাসকদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
এই বার্তা ইসলামি তাওহিদের সারকথা: আল্লাহ এক, তাঁরই বিধানই শ্রেষ্ঠ, এবং মানবজাতি তাঁর বান্দা হিসেবে সমান মর্যাদার অধিকারী।
২. রক্ত ও সম্পদের অমর্যাদা ঘোষণা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: “তোমাদের জীবন, সম্পদ ও সম্মান একে অপরের জন্য হারাম (অস্পৃশ্য) যেমন আজকের দিন, এই মাস ও এই নগর পবিত্র।”
এই ঘোষণা মানবাধিকার ও নিরাপত্তার প্রথম সার্বজনীন দলিল হিসেবে বিবেচিত। কোনো ব্যক্তির জীবন বা সম্পদ বিনা ন্যায়কারণে হরণ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হলো। আধুনিক আইনব্যবস্থার মূলনীতি- জীবন, সম্পদ ও মর্যাদার সুরক্ষা- এই ঘোষণার ভিত্তিতেই বিকশিত হয়েছে।
৩. সামাজিক ন্যায়বিচার ও শোষণমুক্ত সমাজ: তিনি বলেন: “অজ্ঞতার যুগের সকল সুদ আমি আজ বিলোপ করলাম। প্রথম যে সুদ আমি বাতিল করছি তা হলো আমার চাচা আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সুদ।”
এই ঘোষণা ইসলামী অর্থব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তি স্থাপন করে। মুনাফা ও শোষণের ওপর প্রতিষ্ঠিত আর্থিক কাঠামোকে তিনি অগ্রাহ্য করেন এবং অর্থনৈতিক ন্যায়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন।
৪. নারী-পুরুষ সম্পর্কের ন্যায়নীতি: তিনি বলেন: “তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার আছে, যেমন তাদেরও তোমাদের ওপর অধিকার রয়েছে।”
এখানে নবী (সা.) নারীকে সমাজে সমান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। তিনি পরিবারকে সমাজের মৌলিক একক হিসেবে ঘোষণা করেন, যেখানে ভালোবাসা, সম্মান ও দায়িত্বের ভারসাম্য থাকবে।
৫. ভ্রাতৃত্ব ও জাতিগত সমতা: তিনি ঘোষণা দেন: “হে মানুষ! তোমাদের রব একজন, তোমাদের পিতা একজন। কোনো আরবের ওপর অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, অনারবের ওপর আরবেরও নয়; শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তাকওয়ার (পরহেজগারি) মাধ্যমে।”
এই ঘোষণা জাতি, বর্ণ, ভাষা ও বংশের বিভাজন ভেঙে দিয়ে মানবসমতার ভিত্তি স্থাপন করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ ঘোষণার প্রায় চৌদ্দশ বছর আগে রাসুলুল্লাহ (সা.) এই নীতি প্রবর্তন করেন।
৬. আমানত ও নৈতিকতার শিক্ষা: তিনি বলেন: “যার কাছে কোনো আমানত থাকবে, সে যেন তা তার প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেয়।”
এটি প্রশাসনিক সততা, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের প্রতি ইসলামের অটল অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সুশাসনের জন্য এটি অন্যতম মূল নীতি।
৭. কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার নির্দেশ: তিনি ঘোষণা করেন: “আমি তোমাদের মধ্যে এমন দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ তোমরা এগুলো আঁকড়ে থাকবে, ততক্ষণ পথভ্রষ্ট হবে না- সেগুলো হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন) এবং আমার সুন্নাহ।”
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইসলামী জীবনব্যবস্থার চূড়ান্ত সংহতি অর্জন হয়। জ্ঞান, নীতি ও আচার- সবকিছুর উৎস নির্ধারিত হয় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী।
আধুনিক মানবসভ্যতায় বিদায় হজের প্রভাব: ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করেন, তখন তিনি কেবল মুসলিম সমাজের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য এক সার্বজনীন নৈতিক সনদ উপস্থাপন করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে আরাফাতের ময়দানে প্রদত্ত সেই ভাষণ সময় ও স্থানকে অতিক্রম করে আজও আধুনিক মানবসভ্যতার মৌলিক মূল্যবোধের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। আধুনিক গবেষকরা একে যথার্থই “Charter of Humanity” বা “Declaration of Universal Human Rights”-এর প্রাচীনতম ও পরিপূর্ণতম রূপ বলে অভিহিত করেছেন।
মানবাধিকারের ভিত্তি: বিদায় হজের ভাষণে নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছিলেন- “তোমাদের জীবন, সম্পদ ও সম্মান এই মাস, এই দিন ও এই শহরের মতোই পবিত্র।” এই ঘোষণা মানবাধিকারের মূল দর্শনের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ, যেখানে ব্যক্তির জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের Universal Declaration of Human Rights (UDHR)-এও ব্যক্তির জীবন, মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, যা ইসলামের এই ঘোষণার শত শত বছর পর গৃহীত। নবীর ভাষণ তাই মানবাধিকারের দার্শনিক ভিত্তি রচনা করেছে: যেখানে মানুষের মর্যাদা ধর্ম, জাতি বা শ্রেণি নির্বিশেষে সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত।
জাতিগত সাম্য ও সামাজিক ন্যায়: ভাষণে নবী করিম (সা.) বলেন “আরবের উপর অনারবের, অনারবের উপর আরবের, শ্বেতাঙ্গের উপর কৃষ্ণাঙ্গের কিংবা কৃষ্ণাঙ্গের উপর শ্বেতাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই- কেবল তাকওয়া বা ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারিত হবে।” এই ঘোষণা আধুনিক গণতন্ত্র ও সামাজিক সমতার অন্যতম মূলনীতি। ইউরোপ ও আমেরিকায় যে বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলছে, তার আদর্শিক অনুপ্রেরণা নিহিত রয়েছে এই ভাষণের ভিতরেই। মহাত্মা গান্ধী থেকে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র- সকলেই মানবসমতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন, যা নবী করিম (সা.)-এর এই বার্তারই প্রতিফলন।
নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্মান: বিদায় হজের ভাষণে তিনি নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে বিশেষভাবে নির্দেশ দেন: “তোমরা নারীদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করো, কারণ তারা তোমাদের আমানত।” সপ্তম শতাব্দীর আরব সমাজে যেখানে নারীকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতো, সেখানে এই ঘোষণার মাধ্যমে নারীর সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছিল। আধুনিক নারীবাদী দর্শন (Feminism) যে সমতা ও মর্যাদার কথা বলে, তার উৎসধারা এই ঘোষণাতেই নিহিত। নারীকে সম্মানের সঙ্গে সমাজ ও পরিবারের অংশীদার হিসেবে গণ্য করা- এটি ছিল এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত, যা আজও লিঙ্গসমতার ভিত্তি গড়ে দেয়।
অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও শোষণমুক্ত সমাজ: বিদায় হজের ভাষণে রিবা (সুদ) সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়। নবী করিম (সা.) ঘোষণা দেন- “আজ থেকে সমস্ত রিবা বিলুপ্ত করা হলো।” এর মাধ্যমে তিনি অর্থনৈতিক শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা দেন। আধুনিক অর্থনীতিতে “Ethical Economics” বা নৈতিক অর্থব্যবস্থার যে ধারণা ক্রমে গুরুত্ব পাচ্ছে, তার শিকড়ও এই ইসলামী নীতিতে নিহিত। আজকের বিশ্ব যখন পুঁজিবাদের চাপে আর্থিক বৈষম্যে জর্জরিত, তখন বিদায় হজের ভাষণের এই অর্থনৈতিক বার্তা মানবসমাজের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট নীতিমালা হয়ে ওঠে।
বিশ্বমানবিক ঐক্য ও শান্তি: ভাষণে নবী করিম (সা.) মুসলমানদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ঘোষণা করে বলেন, “সব মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই।” এই নীতিই আজকের গ্লোবাল কমিউনিটির (Global Community) ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের যে শিক্ষা তিনি দিয়েছেন, তা বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বহুসাংস্কৃতিক সমাজ গঠনের প্রাথমিক দর্শন হয়ে উঠেছে।
পশ্চিমা পণ্ডিতদের দৃষ্টিতে বিদায় হজের ভাষণ: আধুনিক পশ্চিমা চিন্তাবিদরাও বিদায় হজের ভাষণকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নৈতিক ঘোষণা হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। ড. মাইকেল হার্ট তাঁর গ্রন্থ The 100–এ লেখেন, “হযরত মুহাম্মদ (সা.) কেবল ধর্মীয় নেতা নন, বরং একজন সামাজিক সংস্কারক, যিনি মানবাধিকারের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।” কারেন আর্মস্ট্রং তাঁর Muhammad: A Prophet for Our Time গ্রন্থে লিখেছেন, “বিদায় হজের ভাষণ আধুনিক মানবাধিকারের ঘোষণার পূর্বাভাস।” স্যার থমাস আর্নল্ড বলেন, “এটি ইতিহাসের সর্বাধিক ন্যায়পরায়ণ সামাজিক চুক্তি।”
সুতরাং, বিদায় হজের ভাষণ শুধু ইসলামী ঐতিহ্যের অংশ নয়; এটি মানবসভ্যতার নৈতিক ভিত্তি ও ন্যায়বিচার, সমতা, মর্যাদা ও মানবিকতার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র। সময় যতই অগ্রসর হোক, এই ভাষণের নীতি ও মূল্যবোধ ততই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে- কারণ এটি মানবতার অন্তর্গত চিরন্তন সত্যের প্রতিধ্বনি।
উপসংহার: বিদায় হজের ভাষণ কেবল একটি ধর্মীয় ভাষণ নয়; এটি এক চূড়ান্ত মানবিক সনদ, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য ন্যায়, দয়া, সমতা ও শান্তির বার্তা বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই ভাষণে মানবজীবনের প্রতিটি দিকের জন্য এমন এক ভারসাম্যপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন, যা ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছে।
এই ভাষণেই ইসলাম পূর্ণতা লাভ করে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।”
(সূরা আল-মায়িদা, আয়াত ৩)
আজ যখন পৃথিবী যুদ্ধ, অন্যায় ও বৈষম্যে ক্লান্ত, তখন বিদায় হজের এই কালজয়ী বার্তাই মানবতার একমাত্র আলোকবর্তিকা। যদি বিশ্ব সমাজ এই ভাষণের শিক্ষা অনুসরণ করত- তবে মানুষে মানুষে হিংসা, লোভ ও বৈষম্যের স্থলে ন্যায়, ভালোবাসা ও শান্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হতো।
সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপপরিচালক

আরও পড়ুন
শনিবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা
বেরোবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগ: সহকারী প্রক্টর ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন, প্রধান ফেরদৌস রহমান