অনলাইন ডেস্ক :
এবার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাই পেয়েছে ভারতের শহর শান্তিনিকেতন। এ শহরেই এক শতাব্দী আগে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্থাটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব সংস্থাটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
বর্তমানে সৌদি আরবে চলমান বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৫তম অধিবেশনে শান্তিনিকেতনকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।
শান্তিনিকেতন শব্দের অর্থ ‘শান্তির আবাস’। মূলত এটি ছিল একটি আবাসিক স্কুল এবং প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের কেন্দ্র এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সীমানা অতিক্রম করে মানবতার ঐক্যের দৃষ্টিভঙ্গি।
ইউনেস্কোর দেওয়া বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘‘১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে মানবতার ঐক্য বা ‘বিশ্বভারতী’কে স্বীকৃতি দিয়ে একটি ‘বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০ শতকের প্রথম দিকের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের দিক থেকে ভিন্ন এবং ইউরোপীয় আধুনিকতাবাদ থেকে ভিন্ন শান্তিনিকেতন, প্যান-এশীয় আধুনিকতা এবং সমগ্র অঞ্চলের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় লোক ঐতিহ্যের প্রভাব ইত্যাদির প্রতিনিধিত্ব করে।’’
শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত যে শান্তিনিকেতন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির মূর্ত প্রতীক এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য; ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় খোদাই করা হয়েছে। এটি সমস্ত ভারতীয়দের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ