অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চির অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দন্ত রোগে ভোগা এই নোবেলজয়ী বেশ যন্ত্রণায় রয়েছেন। তবে, তার জরুরি চিকিৎসেবায় বাধা দিচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সু চির কনিষ্ঠ ছেলে কিম আরিস এ অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিম আরিস বিবিসিকে বলেন, ‘সু চিকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, সেই আবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে জান্তা সরকার।’ কারাগারের একটি সূত্র বলছে, ৭৮ বছর বয়সী সু চি দন্ত রোগে ভুগছেন। কিছু খেতেও পারছেন না তিনি। তবে সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘সু চি সুস্থ আছেন। সামরিক ও বেসামরিক চিকিৎসকরা তাকে নিয়মিত চেকআপ করছেন।’
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন। আর গত জুলাইয়ে সু চিকে দেশটির রাজধানী নেপিদোতে আনা হয়। তবে, তিনি কোন কারাগারে রয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিবিসি বলছে, ওই অভ্যুত্থান দেশটিতে একটি গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করেছে। এমনকি, হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সু চির ঘনিষ্ঠজনরা বিবিসিকে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দাঁত ও মাড়ির অসুখে ভুগছেন। এ ছাড়া নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তিনি। কারাগারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, সু চির মাড়ির সমস্যা আরও খারাপ হয়েছে।
কারাগারে তাকে নরম খাবারের পাশাপাশি দাঁতের ব্যথা উপশমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওই সূত্র। যুক্তরাজ্যে থাকা সু চির ছোট ছেলে কিম আরিস বলেন, ‘মা বারবার বমি করছেন। অসুস্থতার জন্য তার মাথা ঘোরাচ্ছে।’ এক ক্ষুদে বার্তায় ৪৬ বছর বয়সী আরিস বলেন, ‘কোনো অসুস্থ বন্দিকে চিকিৎসকের সুপারিশকৃত সেবা না দেওয়া নির্মম ও নিষ্ঠুরতার সর্বশেষ পর্যায়। দন্ত রোগীরা ঠিকমতো খেতে পারেন না। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।’ মিয়ানমারের নির্বাসিত নেতাদের সৃষ্ট জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) সু চিসহ বাকিসব রাজনৈতিক বন্দিদের চিকিৎসেবা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জান্তা সরকারকে এজন্য চাপ দিতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ