টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে কিছু ঘর-বাড়ি ও সবজির খেত।
জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, ‘৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ দশমিক ৭২ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অনান্য নদ নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে নদ-নদীর তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরও দুই থেকে একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।’
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
মুরাদনগরে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়িতে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ
হালদার পাড়ে তামাক চাষ বন্ধ করতেই হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
সৎ নেতৃত্ব ও ইসলামী অনুশাসন ছাড়া মানবতার প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়: গোলাম পরওয়ার