পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বনজ সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মূল বিষয়গুলোতে আগামী দিনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কার্যালয়ে নরওয়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেন্ডসেন বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এই কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে তার অবদানের প্রশংসা করেন সাবের হোসেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদকালে, বাংলাদেশ-নরওয়ে সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হয়েছে এবং এটি আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও প্রসারিত করার জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি গড়ে উঠেছে।
এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ এবং জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন মন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত রিক্টার-সভেন্ডসেন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং এর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টার জন্য নরওয়ের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পরিবেশগত উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য নরওয়ের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
উভয় পক্ষ তাদের পারস্পরিক পরিবেশগত লক্ষ্যগুলোকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর এবং অংশীদারত্বের নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন। উভয় দেশ পরিবেশ এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। যা উভয় দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আমেরিকা ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
বসুন্ধরা গ্রুপের আনভীরের ভাই সানভীরের লাম্পট্য; নিরাপত্তাহীনতায় তরুণী
৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যে ব্যাখ্যা দিলেন এনসিপি নেতা ইমামুর