অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে সমর্থন অব্যাহত রাখতে বিশ্ব নেতাদের সামনে যুক্তি তুলে ধরবেন তিনি। সফরে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ দেখা করবেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনীয় সৈন্যদের চিকিৎসা প্রদানকারি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলেনস্কি বলেন, জাতিসংঘ এখনও ‘রুশ সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারণ্যে’। তিনি এর আগে সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ না দেয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে একজন ‘দ্বিতীয় হিটলার’ বলে মন্তব্য করেন।
জেলেনস্কি বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমরা পুতিনকে থামাতে চাই নাকি বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাই। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য সাধারণ পরিষদে কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে, তবে যুদ্ধের উপর ফোকাস রাখা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমালোচনাও করেছে। জেলেনস্কি জাতিসংঘে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উভয়ই রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথেও দেখা করতে পারেন।
জাতিসংঘে জার্মানির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শোলজ ‘বিশ্বে নতুন ফাটল উন্মোচন’ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদ আবারও তাদের চিরাচরিত চেহারা দেখাচ্ছে। এরদোয়ান সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। তিনি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি প্রধান রুটির বাস্কেট হিসেবে পরিচিত ইউক্রেনকে, কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে শস্য সরবরাহের রাশিয়ার স্থগিত করা জাতিসংঘ-সমর্থিত ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, জেলেনস্কি এই সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
এরপর নিউ ইয়র্কে পুনর্বাসনে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে দেখা করবেন। জানা গেছে, সম্মেলনের বাইরেও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার সঙ্গে গত বুধবার প্রথমবার সাক্ষাৎ হবে তার। আলোচ্য সূচিতে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জলবায়ু সংকট ও ইউক্রেনে যুদ্ধ ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অধিবেশন উপলক্ষে জড়ো হবেন বিশ্বের ১৪০ জনের বেশি নেতা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক শুরু হয়। দুই সপ্তাহে একাধিক বৈঠকের পর এই বিতর্ক শুরু হবে।
আরও পড়ুন
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ-বিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৫০০
সীমান্ত বন্ধ হলে বড় ক্ষতি ভারতের, ঝুঁকিতে লাখো মানুষের জীবিকা
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭