ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় ট্রাকের চাপায় মাইক্রোবাস ও অটোরিকশায় থাকা নারী-শিশুসহ ১৪ জন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ট্রাকচালক মো. আল আমিন ও তার সহকারী নাজমুল শেখকে উপজেলার বাসন্ডা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
চালক আল আমিন ঝালকাঠি সদর উপজেলা বাড়ইগতি গ্রামের আনসার আলী হাওলাদারের ছেলে এবং সহকারী নাজমুল শেখ খুলনা সিটি করপোরেশনের জোড়া গেট এলাকার কালু শেখের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঝালকাঠি-খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের গাবখান ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বরিশালগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি অন্তত পাঁচটি যানবাহনকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রাকচালক ও সহকারী পালিয়ে গিয়ে একটি বাসায় আশ্রয় চান। সেখানে তাদের বাইরে থেকে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেনি বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ ভুক্তভোগীদের পরিবারের লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করলে প্রাইভেটকারে থাকা রাজাপুরের ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় চালক ইব্রাহিমের পরিবার মামলা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানায় পুলিশ।
দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামে বারেক হাওলাদারের মেয়ে নাহিদা আক্তার সোনিয়া ও তার স্বামী হাসিবুর রহমান,তাদের সন্তান তাকিয়া (সাড়ে ৪ বছর), তাহমিদ (৮ মাস), সদ্য বিবাহিত কন্যা নিপা ও তার স্বামী বিমানবাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন, বাদুরতলা গ্রামের ইব্রাহিম(প্রাইভেটকার চালক), গাবখানের সেলিম হাওলাদারের পুত্র নজরুল, ওস্তাখান গ্রামের মান্নান মাঝির ছেলে শফিকুল মাঝি, শেখেরহাট নওপাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে আতিকু রহমান সাদি (১১), কাঠালিয়ার তালগাছিয়ার ইব্রাহিমের মেয়ে নুরজাহান (৭) ও তাহমিনা, রাজাপুরের উত্তর সাউথপুরের হাসিবুর রহমানের স্ত্রী সনিয়া বেগম, স্বরূপকাঠির রুহুল আমীন ও টোল প্লাজার সামনের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক শহিদুল ইসলাম।
নিহতদের পরিচয় শনাক্ত শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া ১৯১১ নথির খোঁজ মেলেনি