যুক্তরাষ্ট্র অফিস:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আইসের ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। নিউ ইয়র্ক সিটির মেট্রোপলিটন এলাকায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) একটি বড় অভিবাসন অভিযান চলিয়েছে আমেরিকার অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এতে অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই অভিযানে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই), হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যুরো (এটিএফ), এবং ব্রঙ্কস ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) এজেন্টরা অংশগ্রহণ করেন।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্রঙ্কস এলাকার একাধিক স্থান পরিদর্শন করা হয়। যেখানে সশস্ত্র এজেন্টরা সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছেন। এক বিশেষ অভিযানে, কলোরাডোতে অবস্থিত একটি সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জ্যাকসন হাইটস থেকে সিব্বির আহমেদ নামের এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমেগ্রেশন পুলিশ।
স্থানীয় সময় ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর ৬ টায় জ্যাকসন হাইটসের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন গ্রেপ্তার অভিযানের সময় আইসের সাথে দুজন এনওয়াইপিডির সদস্য ছিলো। সিব্বির আহমেদের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে।
২০২২ সালে সিব্বির আহমেদ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করলেও মাত্র ২২দিন আগে তিনি এসাইলামের জন্য আবেদন করেছিলেন। তার মামলার সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটর্নির মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝামেলাে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা।
তারা বলছেন, নিউইয়র্ক সিটিতে কাগজ পত্রহীন অনেকেই বেইজমেন্টে বসবাস করে থাকেন। বেইজমেন্টের রেন্টার বৈধতা না থাকায় অনেকে ভাড়া পরিশোধ নিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝামেলা করেন। বাড়িওয়ালা এ সুযোগে ইমিগ্রেশনে তথ্য দিয়ে আপনি ঝামেলা পড়বেন। তাই বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
বৈধদের ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রয়োজনীয় ডুকুমেন্ট সঙ্গে রাখুন। ইমেগ্রেশন পুলিশ চাইলে সহযোগিতা করুন। বৈধ কাগজ পত্র না থাকলে ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করুন।
আরও পড়ুন
প্রকাশ্যে এলো সিয়াম-দীঘির রোমান্স
যেভাবে সুরা ফাতেহার জবাব দেন আল্লাহ তাআলা
স্মার্টফোন চুরি হলে প্রথমেই যে কাজ করা জরুরি