খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) ৪২৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক উপাচার্য ড. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত তিন বছরের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র সোমবার দুদকে জমা দিয়েছে খুকৃবি কর্তৃপক্ষ।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কথা উল্লেখ করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ ঘটনা ঘটে।
এতে বলা হয়, ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৪২৬ জন শিক্ষক ও কর্মচারী খুকৃবিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এবং মাত্র তিন বছরে ৪৩টি বিভাগ খোলা হয়েছিল।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে নিয়োগে অসঙ্গতি খুঁজে পায়।
ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছরের ৩ আগস্ট উপাচার্যের স্বজনসহ ৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বছরের নভেম্বরে দুদক খুকৃবি’র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় এবং দুদকের উপ-পরিচালক এরশাদ মিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
গত ২ জানুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রার্থীদের আবেদন পত্র, লিখিত পরীক্ষার রেকর্ডসহ নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র ১০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে এ বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মাজহারুল আনোয়ার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নথিজমা দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া বলেন, তিনি কিছু কাগজপত্র পেয়েছেন এবং সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
—-ইউএনবি

আরও পড়ুন
সাবেক মন্ত্রী মায়া ও তার পরিবারের ৮১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
জেমকন গ্রুপের সিইও কাজী আনিসের ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জয়পুরহাটে মনোনয়ন ঘিরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া