পাবনা সংবাদাতা:
পাবনা-১ সংসদীয় আসনে (আসন নং ৬৮) বিএনপি গঠনের প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় পরামর্শক্রমে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। ঐতিহ্যবাহী এই আসনটি বেড়া, সাঁথিয়া এবং সুজানগরের অংশ নিয়ে গঠিত। ৪০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখে এই আসনের বিএনপি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে বর্তমানে, দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা এই ঐক্যকে ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বেড়া অংশে সভাপতি এবং সুজানগরের অংশে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়ে আসছিলেন, যা দীর্ঘদিনের এক স্বীকৃত প্রথা। কিন্তু বর্তমানে, কৃষক দলের সভাপতি তুহিনসহ কিছু নেতা এই প্রথাকে ভঙ্গ করার চেষ্টা করছেন। তারা নিজস্ব ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন কমিটি থেকে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, এই নেতারা ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিএনপির আসল নেতৃত্বের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়ন করে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী সাংগঠনিক কাঠামো ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
পাবনা-১ আসনের বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা এই ষড়যন্ত্রকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছেন এবং দলীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন, দলের নীতিনির্ধারকরা প্রতিটি আসনে এ ধরনের বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা প্রতিহত করে ঐক্য অটুট রাখবেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আমরা দলের নীতি-নির্ধারকদের অনুরোধ করছি, যারা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের গুরুত্ব দিন এবং ঐক্য বিনষ্টকারী অপশক্তিকে রুখে দিন।”
আরও পড়ুন
একজন আদর্শবাদী মানুষ তার কর্মের মধ্যদিয়ে মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকেন
প্রিপেইড মিটার লাগানো’র চেষ্টার প্রতিবাদে বিদ্যুৎগ্রাহক ফোরাম রংপুর এর বিক্ষোভ সমাবেশ
খুলনার ছয়টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিলেন জামায়াতে ইসলামী