বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বুধবার থেকে সব তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও অস্থিরতার কারণে আশুলিয়া ও বাইপাইলে সকাল থেকে প্রায় ৪০টি কারাখানা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গতকাল সোমবার নিরাপত্তাজনিত কারণে সকালে খোলার পর প্রায় ৭০টি কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘মঙ্গলবারের পরিস্থিতি আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক। আজ সকালে অধিকাংশ কারখানা খুলেছে। গতকাল থেকে কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে এবং কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রায় ২১টি কারখানায় আজ (মঙ্গলবার) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
সারা দেশে বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ১৪৫টি। আশুলিয়া ও বাইপাইল এলাকা ছাড়া গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চলের সব কারখানায় উৎপাদন পুরোদমে চলছে।
আশুলিয়া ও বাইপাইল এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সোমবার ৪০৭টি কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানার উৎপাদন আবারও ব্যাহত হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, তারা আশুলিয়াসহ গাজীপুরের অন্যান্য অংশে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু অস্থিরতার কারণে কিছু কারখানা আজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হবে এবং পরিস্থিতি উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ প্রতিনিধি একসঙ্গে কাজ করছেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
গাজীপুরে দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে স্মরণীয় দিন আজ: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি জানালো জামায়াত