December 4, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 11th, 2024, 8:57 pm

বিভিন্ন দলের হয়ে রাজনৈতিক খেলাধুলা চলছে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে যদি রাজনৈতিকভাবে বাতিল করতে হয়, সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে বাতিল করা সবচেয়ে সহজ। সেই বাতিল হবে স্থায়ী বাতিল, অন্য বাতিল কাজ করে না।’

তিনি বলেন, ‘অন্য ধরনের বাতিলে গেলে সে বাতিল সাময়িক কাজ করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে না। আওয়ামী লীগকে জনগণ যখন বাতিল করবে, সেটিই হচ্ছে আসল বাতিল।

আমাদের ওই দিকে যেতে হবে।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘বিভিন্ন দলের হয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক খেলাধুলা চলছে। খেলাধুলা যারা করছে তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না।

বিএনপিকে বুঝতে পারছে না। এই বিএনপি সেই বিএনপি নয়। এই বিএনপি শক্তিশালী অবস্থানে, এর শিকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। এই বিএনপিকে টলানোর সাধ্য কারো নেই।’

তিনি বলেন, ‘দুই-একটা সিদ্ধান্ত দেখছেন না ইতিমধ্যে আপনারা? বাংলাদেশের মানুষ মালিকানা ফিরে পাওয়ার জন্য ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে। বিএনপিকে ভাঙার সব ধরনের চেষ্টা হয়েছে। চিকিৎসা না দিয়ে খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলার চেষ্টার মধ্যেও তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া টলেনি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেউ টলেনি।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাওয়ার অপেক্ষা করছে।

তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য অপেক্ষা করছে। নির্বাচিত সরকার করার জন্য অপক্ষো করছে। যে নির্বাচিত সরকার জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে। অন্য কোনো সরকার দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার হবে না। কারণ তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হয় না। বিএনপিকে জনগণের কাছে যেতে হয়। যারা রাজনীতি করে তাদেরকে যেতে হবে। এজন্য জনগণের যে প্রত্যাশা তা দ্রুত পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশ একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করতে হবে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এমন সরকার দরকার।’
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কোনো সংস্কার করতে চাই, তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সেই সংস্কার জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে হতে হবে, এর বাইরে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সংস্কার হচ্ছে নির্বাচনের সংস্কার। সবকিছুর কথা শুনছি, কিন্তু নির্বাচনের কথা শুনছি না। নির্বাচনী সংস্কারের জন্য সবকিছু তৈরি করে রেখেছি।’

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘গেল ১৫-১৬ বছর ধরে ৭ নভেম্বর পালন করতে পারিনি। এবার বড় করে পালন করতে পারছি। বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের দল, এই দলটি স্বাধীনতার পক্ষের দল। এই দলটি অর্থনীতিক মুক্তির পক্ষের দল। এই দলটি বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপত্তায় রাখার দল। এই দলটি হচ্ছে সত্যিকারের সংবিধান রক্ষার দল। বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার দল হচ্ছে বিএনপি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকের প্রেক্ষাপটে আমাকে বলতে হচ্ছে, গত ১৫-১৬ বছর আপনারা অনেক কঠিন সময় অতিবাহিত করেছেন। আমাদের নেতা-কর্মীরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখেরও বেশি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। দলটির নেতা-কর্মীরা ব্যবসা, চাকরি হারিয়েছে, বাড়ি-ঘরে থাকতে পারেননি। পরিবারের সদস্যদের পুলিশসহ অনান্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হতে হয়েছে। নেতাকর্মীদের যে ত্যাগ, সেই ত্যাগের মাধ্যমে জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সোনা হয়ে গেছে তারা। কষ্ট হলেও এই বিষয়টি দল হিসেবে বিএনপিকে অনেক ওপরে নিয়ে গেছে। তাই আজকে কোনো শক্তি আমাদেরকে টলাতে পারবে না।’

বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি জাহিদুল করিম কছির সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন।