জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সরকার খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তবে এসব মানছেনা বিয়ানীবাজারের পাইকারি খুচরা ব্যবসায়ীরা। এখানকার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ডিম, আলু ও পেঁয়াজ।
সরকার কর্তৃক দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর এখনো আগের দামে পণ্য বিক্রির বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোন তদারিক টিম বাজারে নামেনি। কোন দোকানেও অভিযান চালানোর খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরসহ উপজেলার চারখাই, দুবাগ বাজার ও বারইগ্রামে খবর নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় বাজারে ডিমের হালি ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, রসুন ২২০টাকা, ডাল ১১০টাকা, চিনি ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
পৌরশহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আলুর আড়তদার বলেন, ‘ বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আগামী দিন থেকে নির্ধারিত দামের মধ্যে আমরা পেলে আমরাও বিক্রি করব। বর্তমানে কেজিপ্রতি আলুর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা দরে।
অপর আড়তদার বলেন, ‘আমাদের আজও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে।’
পৌরশহরের শ্রীধরা বাজারের ব্যবসায়ী জামিল আহমদ বলেন, ‘সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কিন্তু বাস্তবে তো পাচ্ছি না। তাই যে দামে কিনছি সেটা থেকে তো লাভ করেই বিক্রি করতে হবে।
পৌরশহরের কিচেন মার্কেটে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো জিনিসের দাম সরকার বাড়ালে সেটি পরের দিন থেকেই কার্যকর হয়। কমলে সেটি কমতে অনেক সময় লাগে। এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফসানা তাসলিম বলেন, ‘আশা করছি নির্ধারিত দামেই সব পণ্য পাওয়া যাবে। যদি সেটি না হয় তবে দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ