চলতি বছরের (২০২৫) মার্চ শেষে দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা।
যা খাতটির বিতরণকৃত মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা—যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ, তিন মাসে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে খাতটির মোট ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তথ্য অনুযায়ী, ৩৫টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির খেলাপি ঋণের হার ৫০ শতাংশের বেশি রয়েছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের তুলনায় জুলাই-সেপ্টেম্বরে তাদের মোট সম্পদ ১ দশমিক ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি, বার্ষিকায়িত রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) নেমে এসেছে ঋনাত্বক ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ঋণাত্বক ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ফলে তারা নতুন করে ডিপোজিট [আমানত] সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছে। পাশাপাশি পূর্ববর্তী সময়ে দীর্ঘ মেয়াদে রিশিডিউল [পুনঃনির্ধারিত] করা ঋণগুলো এখন খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
হাইকোর্টের নির্দেশে খুলছে অগ্রণী-দুয়ার ব্যাংকিং; স্বস্তি ফিরছে ১০ লক্ষ গ্রাহক ও শত শত এজেন্টের
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো এক বিলিয়ন ডলার
মোদিকে আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা