May 24, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 8th, 2025, 5:00 pm

ভাঙ্গুড়ায় নকল দুধ তৈরির কারখানায় অভিযান ও সীলগালা, অনুমতি ছাড়াই আবার চালুর অভিযোগ!

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ছোট বিশাকোল গ্রামে একটি দুগ্ধ চিলিং সেন্টার থেকে নকল দুধ তৈরির বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর উপাদান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুধের কারখানাটি সীলগালা করা হয় কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে বৃহস্পতিবার কারখানাটি আবার চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গুড়া আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আল-আমিন খাঁনের নেতৃত্বে ১৫ জন সেনা সদস্য এ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের সহায়তা করেন।

অভিযানকালে ‘এন কে ডেইরী ফার্ম’ নামের ওই দুগ্ধ চিলিং সেন্টার থেকে পাঁচ লিটারের ২৭ বোতল ও দুই লিটারের ৯ বোতল সয়াবিন তেল, কস্টিক সোডা, ১ বস্তা চিনি, খারসোডা ও লবণ জব্দ করা হয়। যা দিয়ে নকল দুধ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী কারখানাটি সীলগালা করে। সেইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কারখানাটি যাতে খোলা না হয় সেজন্য সতর্ক করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখার সময় জানা যায়, কারখানার মালিক গোপন আঁতাতের মাধ্যমে কারখানাটি খুলে আবার কাজ শুরু করেছেন। ছোট বিশাকোল গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন,এই কারখানায় নকল দুধ তৈরি হয় প্রমাণ পাওয়ার পরও কিভাবে আবার চালু হলো তা কারো বোধগম নয়।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো.শফিকুল ইসলাম ঐ কারখানায় অভিযানের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে যা কিছু করেছে সেনাবাহিনী,তারা কেবল সহায়তা করেছেন। সেনা কমানডার ক্যাপ্টেন আল আমিন নকল দুধের কারখানায় অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, বন্ধের পর উহা আবার কিভাবে খোলা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপে জানাগেছে, তৃতীয় পক্ষের কেউ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কারখানার মালিককে আশ্বস্ত করায় বৃহস্পতিবার থেকে আবার দুধ তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন,ওখানে সেবাহিনী অভিযান চালায়। তখন সেনা কমান্ডার বিষয়টি তাকে জানালে তিনি সীলগালার পরমর্শ দেন। পরে কারখানাটি খোলা হয়ে থাকলে সেনাবাহিনী তাকে কিছু জানায়নি বা কারখানার মালিকও তার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেননি ।  এ ব্যাপারে কারখানার মালিক স্ঞ্জয় কুমারের বক্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে কানেক্ট করা যায়নি।।