অনলাইন ডেস্ক :
সুদানের সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সহিংসতা নিরসনে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস এক টুইটে বলেছেন, সুদানের পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক এবং হৃদয়বিদারক হয়ে উঠছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন মারা গেছে এবং ৩ হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছে। আমি সব প্রাণহানির নিন্দা জানাই। বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিক এবং স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস আরও বলেন, যখন হাজার হাজার আহত ব্যক্তির জরুরি সেবার প্রয়োজন তখন নিরাপদে স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামোতে প্রবেশাধিকার, বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি, কর্মী এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবের কারণে অনেক স্বাস্থ্য সেবা সঠিক সময়ে দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এদিকে, সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে লড়াই পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। এখনো দেশটির রাজধানী খার্তুম এবং এর আশপাশের এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে থাকা আল জাজিরার রিপোর্টার হিবা মর্গানও জানিয়েছেন, এখনও তারা সেখানে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। এদিকে সঙ্কট সমাধানের কোনো লক্ষ্মণ না দেখে খার্তুমসহ আশপাশের এলাকা ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় ২৪ ঘণ্টার অস্ত্র বিরতির কথা হয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে। যাতে বিভিন্ন দেশ সুদানে আটকে পড়া নিজ নিজ নাগরিককে সরিয়ে নিতে পারে। এই অস্ত্রবিরতি গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টার পরও দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরএসএফ অভিযোগ করেছে, সেনাবাহিনীই আগে তাদের ওপর হালকা ও ভারী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। জবাবে সেনাবাহিনী আরএসএফকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে বলেছে, আধাসামরিক বাহিনীটি মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের যে কেনো হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করবে ইরান
আন্তর্জাতিক চাপে ভারত, জাতিসংঘের তদন্ত শুরু
গাজা শাসনের ভার মিশরকে দেওয়া উচিত: ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী