নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা। তবে তা স্বাভাবিক বলছেন বিক্রেতারা। তাদের মতে- ক্রেতা কমও নেই কিংবা বেশিও নেই। বিক্রেতাদের দাবি, বাজার দাম বেশি। তবে তাদের দাবি- দাম অল্প বাড়ানো হয়েছে। যদিও ক্রেতারা বলছেন- দাম একটু বেশি। রোববার (৩রা এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর রোড সংলগ্ন স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায় ইফতার কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। নানা আইটেম থেকে বেছে বেছে কিনছেন ইফতার। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ইফতারের দাম গতবারের থেকে একটু বেশি। বিশেষ করে ভাজাপোড়া এবং মাংস জাতীয় আইটেমের দাম কিছুটা বেশি। দাম কিছুটা বেশি হওয়ার কথা স্বীকার করলেন স্টার কাবাবের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কিছুটা দাম বেড়েছে। বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে এই দাম ২-৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, প্যাকেজ ইফতার আইটেমের দামও বেড়েছে। ২০১৮ সাল থেকে যে ইফতারের প্যাকেজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার দাম এখন ২৪০ টাকা। স্টার কাবাবে হালিম নিতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ইসমাইল বলেন, হালিমের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। অন্তত এক বাটিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি মনে হচ্ছে। ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা অপর গৃহিণী সালমা জানান, আগের থেকে ইফতার সামগ্রীর দাম কিছুটা বেশি। বাজারে জিনিসের যেরকম দাম, দাম তো বাড়বেই। স্টার কাবাব ছাড়াও অন্যান্য ইফতার সামগ্রীর দোকান ঘুরে একই চিত্র পাওয়া যায়। বিক্রেতারা জানান, তেলের দাম আর মাংসের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজার পরিস্থিতির কারণে আগের দামে আর বিক্রি করা যাচ্ছে না। প্রতিটি কাবাব আইটেমে দাম বেড়েছে অন্তত ১৫-২০ টাকা। আলুর চপ, বেগুনি, পেয়াজু, ছোলা এগুলো ২-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও ৪৩ টি পণ্যের শুল্কহার বৃদ্ধি নিয়ে ঢাকা চেম্বারের উদ্বেগ
২০২৪ সালে ৪০ কোটি টাকার বীমাদাবি প্রদান করলো প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স