অনলাইন ডেস্ক :
গেল বছর অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও নাজমুল হোসেন শান্তকে ডাকা হতো নামের আগে ‘লর্ড’। অভিষেক হওয়ার পর জাতীয় দলে যতবারই সুযোগ পেয়েছেন ততবারই ভুগেছেন ফর্মহীনতায়। সেসময় নির্বাচকরা তাকে দলে ভেড়ালেই শুনতে হতো কটু কথা। তবে সময় বদলেছে। ঐ বিশ্বকাপ থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপের মধ্যে প্রায় এক বছরের ব্যবধান। এই সময়ের মধ্যে শান্ত নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেছেন যে বর্তমানে মূল স্কোয়াডে তার কোনো বিকল্প নেই। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে নেমে নতুন করে নিজেতে ব্যাট হাতে চেনাচ্ছেন তিনি। দিচ্ছেন তার ওপর রাখা নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদানও।
চলতি বছরে শান্ত এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৯৮ রান। এর মধ্যে রয়েছে ৫ টি ফিফটি ও দুটি সেঞ্চুরি। যেখানে এর আগে ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে অভিষেকের পর ২০২৩ এর আগে কখনো পঞ্চাশোর্ধ রান করেনি শান্ত। সর্বোচ্চ খেলেছিলেন ৩৮ রানের ইনিংস। নিজের এমন পরিবর্তন নিয়ে সম্প্রতি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত। নিজের এমন পরিবর্তনের প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘পরিবর্তনের মতো কিছুই নেই। আমি মনে করি আমার জীবনের এই পর্যায়টি আসার আগে, আমি সত্যিই আমার অনুশীলন এবং প্রস্তুতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং ব্যাটিংয়ে দুর্বলতার নির্দিষ্ট জায়গা গুলো নিয়ে কাজ করেছি।
২০২২ সালের অক্টোবরের আগে যা ঘটেছিল তা হলো আমি পারফর্ম করছিলাম না, তবে সে সময় আমি আমার দক্ষতা এবং খেলার মানসিক দিকটি বিকাশের দিকে ফোকাস করেছিলাম। যদিও আমি ভালো সময় পার করছিলাম না, তবুও আমার সবসময় বিশ্বাস ছিল এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। যেহেতু আমি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কাজ করেছি, এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছুটা সাফল্য পাচ্ছি।’ খেলার ধরণ বদলানো প্রসঙ্গে শান্ত জানান, আগে ব্যাটিং এ নামলে তার একই ধরনের প্যাটার্নে ব্যাট করতে হতো ফলে ব্যাট থেকে রান আসত না। কিন্তু এখন স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার পর তার ব্যাটিং-এ শট সিলেকশনে অপশন বেড়েছে। সেই সঙ্গে উইকেটের আচরণ বুঝে ব্যাটিং করার স্কিল তিনি উন্নতি করেছেন বলে খেলার ধরনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে যা কি না একটা পজেটিভ দিক।
তবে নিজের খেলা ইনিংস নিয়ে এখনো সন্তুষ্ট নন শান্ত। তার ভাষায়, ‘আমি যদি দেখি ৩ নম্বরে বিশ্বের অন্য ব্যাটাররা কেমন খেলছে… আমার মনে হয় না ৫০, ৬০ বা ৭০ মানসম্পন্ন কোনো রান। তাই ব্যাটিং করতে নেমে আমি সেঞ্চুরির কথা ভাবি।’ এদিকে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি হতে পারে এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমি যেটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করি সেটা হল আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে কারণ প্রতিটি খেলাই হবে তীব্র প্রতিযোগিতার এবং সেখানে প্রতিটি দলই জিততে চাইবে। আর এই চাপ সহ্য করা তার সঙ্গে পারফর্ম করা হবে আসরের ম্যাচ গুলোতে সাফল্য পাওয়ার মূল চাবিকাঠি।’
আরও পড়ুন
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে নারী বিশ্বকাপের ১০ম এ আসরে ৩২টি দল অংশগ্রহণ করবে
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্রিকেট লিগ নিষিদ্ধ করলো আইসিসি