অনলাইন ডেস্ক:
বিপিএলে চলছে রানের উৎসব। আরও স্পষ্ট করে বললে চার-ছক্কার বৃষ্টি হচ্ছে এবারের বিপিএলে। উইকেটের মান যেমন বেড়েছে, তেমনি বাউন্ডারির দৈর্ঘ্যটাও অনেকখানি কমিয়ে এনেছে বিসিবি। ফলাফল এক আসরেই দুইবার এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড দেখেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল। সিলেটে গতকাল দুই ম্যাচ মিলিয়ে হয়েছে ৪৫ ছক্কা।
সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচে ৩১টি ছক্কা হয়েছে, যা বিপিএল রেকর্ড। ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচে হয়েছে ১৪টি ছক্কা। দর্শকরা যখন উপভোগ করছেন এমন চার-ছয় তখন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বললেন বাউন্ডারি বড় করার কথা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ছোট বাউন্ডারি বেশ ভালোভাবেই নজরে এসেছে দর্শকদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে থেকেই আলাপে ছিল বাউন্ডারি ইস্যু। তামিম মাঠের প্রশংসা করলেও সমালোচনা করেছেন বাউন্ডারি সীমানার।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম:
দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৮৬ রান করে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন তামিম। সেখানেই বাউন্ডারি প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ‘যেভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে, তা খুব ভালো। আমি যা দেখতে চাই, তা হলো আরও বড় সীমানা। জায়গা যখন আছে, তাহলে ৫৮-৬০ গজের বাউন্ডারিতে আমরা কেন খেলছি, জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৫-৭০ গজের বাউন্ডারি দেখা যায়। তখন বোলারদের জন্য কিছুটা সুযোগ থাকে।’
উইকেটের প্রশংসা করতে অবশ্য কার্পন্য করেননি তামিম, ‘উইকেট এবার এত ভালো যে কিউরেটরদের কৃতিত্ব দিতে হবে। দুর্দান্ত উইকেট তৈরি করেছেন তারা। তবে উইকেট যখন এত ভালো থাকে, তখন সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি জায়গা থাকে। তাহলে বোলারদের জন্যও সুযোগ থাকে। এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছু নেই।’
তবে সবশেষে তামিম ফের আবদার রাখলেন বাউন্ডারি বড় করার, ‘শীর্ষ কর্তারা যারা সিদ্ধান্ত যা গ্রহণ করেন, আমার আশা ও প্রার্থনা, তারা আমার কথা শুনছেন এবং এই বাউন্ডারি আরেকটু পিছিয়ে দেবেন। কারণ জায়গা তো আছেই।’
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
২২০ চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
রংপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন