অনলাইন ডেস্ক :
ছয় মাসের বেশি সময় পর নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনার নতুন ধরন ডেল্টায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একজনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃত সবই ঘটেছে অকল্যান্ডে। খবর রয়টার্সের।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি একজন নারী। ৯০ বছর বয়সের কোঠায় ওই নারী বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে করোনায় সবশেষ মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ডওমিটার।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোভিড-১৯ আমাদের কমিউনিটিতে প্রবেশ করলে যে কি ক্ষতির কারণ হতে পারে তা প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমাদের প্রবীণ নিউজিল্যান্ডবাসী এবং যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং এজন্য এর বিস্তাররোধে লকডাউন একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
বিশ্বে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। সম্প্রতি দেশটিতে ডেল্টা ধরনের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ঘটে। এর আগে মাঝখানে বেশ কয়েকমাস দেশটিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২০ জনেরও কম ছিল। তবে কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ বাড়লেও শনিবার সংক্রমণ কমার ধারা দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখই বাস করে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে। শহরটিতে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে কঠোর লেভেল ৪ লকডাউন আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। পুরো দেশজুড়েই লকডাউন শিথিল করা হলেও স্কুল, অফিস এবং ক্যাফে, রেস্তোরাঁ এবং সব অনুষ্ঠানস্থল বন্ধ রয়েছে। আর ঘরে থাকতে বলা হয়েছে বেশিরভাগ নিউজিল্যান্ডবাসীকে।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস
জামায়াতে আমিরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার