নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু করেছে। বর্তমান পিএসএস ‘সিটা’ থেকে ভিন্ন আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘সেবর করপোরেশনে’ কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়েছে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই যাত্রীরা অনলাইনে টিকিটিং, বুকিং, চেক-ইন, ওয়েব সার্ভিস ইত্যাদি সেবা পাচ্ছেন। তবে ওয়েবসাইটে টিকিট কাটার সুবিধা থাকলেও মোবাইল অ্যাপলিকেশনে এখনই চালু হচ্ছে না। জানা গেছে, পিএসএস ‘সিটা’ থেকে তথ্য ভা-ার ‘সেবর’ এ স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয় গত গত শনিবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা বিমানের সকল চ্যানেল থেকে টিকিট বুকিং, রিজার্ভেশন ও টিকেট ইস্যু সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় এই সময়েও শিডিউল অনুযায়ী এয়ারপোর্টের চেক-ইনসহ বিমান পরিবহন সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলো যথারীতি চালু রাখা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন চালু হওয়ায় বিমানের টিকিটিং ব্যয় কমেছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনে আরও বেশি বিমানের সেবা গ্রহণ, পরিবর্তন, রিফান্ডের সুযোগ পাবেন। জানা গেছে, এখনও যাত্রীরা টিকিটে যেমন বুকিং করতে পারবেন, পাশাপাশি কোন সিটে বসতে চান সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন। টিকিট কাটতে ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যাবে। ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকিট বিক্রয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০১৯ সালে ট্রাভেল শপ নামের এক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয় বিমান। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোবাইল অ্যাপলিকেশন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গত ১০ আগস্ট থেকে অনলাইন প্লাটফর্মে বন্ধ ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি। তবে বিমান সার্ভারের ভাড়া পরিশোধ করছে না, অভিযোগ তুলে সেবা বন্ধ করে দেয় ট্রাভেল শপ। তবে ট্রাভেল শপের অদক্ষতাকে দায়ী করে চুক্তি বাতিল করে বিমান। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোবাইল অ্যাপসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকিটিং ছাড়াও নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু করতে দায়িত্ব দেয় ‘সেবর করপোরেশন’কে। চুক্তির আওতায় সেবার সনিক প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমের (পিএসএস) মাধ্যমে বিমানের টিকিটিং ব্যবস্থা ডিজিটাল রূপান্তর, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কাজ করছে। কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে বিমানের ফ্লাইট প্ল্যান তৈরিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমও উন্নত করতে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন
শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও ৪৩ টি পণ্যের শুল্কহার বৃদ্ধি নিয়ে ঢাকা চেম্বারের উদ্বেগ
২০২৪ সালে ৪০ কোটি টাকার বীমাদাবি প্রদান করলো প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স
চালের বাজার সহনীয় রাখতে প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস: অর্থ উপদেষ্টা