ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিইসি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন। কিছু মানুষকে অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভোট দেয়ার জন্য নির্ধারিত বুথে ঢুকে ব্যালট দিতে আমরা দেখেছি। কিছু জায়গায়, ভোটারদের নির্দিষ্ট প্রার্থীদের জন্য ব্যালট দিতে বাধ্য করা হয়।’
তিনি (সিইসি) অবশ্য এ অনিয়মের জন্য কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে দায়ী করেননি।
তিনি বলেন, ব্যাপক ‘অনিয়ম’ দেখে নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ১৪৫টির মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলরুম থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
২৩ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করলে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার