অর্থ আত্মসাতের মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আটক করে। দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারের পর আজই ফিরোজ হোসেনকে আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর একই মামলার অপর আসামি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ আরও এক আসামি দুদকের হাতে ধরা পড়লেন।
গত ১৭ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনুমোদনবিহীন ঋণ প্রদান ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলেছেন।
মামলায় আসামি হিসেবে নাম রয়েছে— মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের মালিক মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
এছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও এই মামলার আসামি।
দুদকের এজাহারে বলা হয়, ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ নামের প্রতিষ্ঠানের অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে কোনো যাচাই-বাছাই, সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন বা স্টক রিপোর্ট ছাড়াই এবং জামানতের যথাযথ নিশ্চয়তা না নিয়েই আসামিরা যোগসাজশে ঋণ অনুমোদন করেন। ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে তারা ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ, বোর্ড মেমো প্রেরণ এবং বোর্ড থেকে অনুমোদন করিয়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ফিলিপাইনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়ালো, নিখোঁজ ১২৭
অর্থ উপদেষ্টা-গভর্নর পদত্যাগ না করলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও
১১ নভেম্বর ঢাকায় ৮ দলের মহাসমাবেশের ঘোষণা