নিউজ ডেস্ক :
পাবনায় অস্ত্র নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশের ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। গত বুধবার পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অব্যাহতিপ্রাপ্ত দুই নেতা হলেন পাবনা পৌরসভার বিলুপ্ত কমিটির আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) ও পাবনা সদর উপজেলার বিলুপ্ত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে ফারুক হাজী। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির স্বাক্ষর করা চিঠি মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং হাজী ফারুকের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে। একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ। পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত বুধবার তারা শেখ লালুকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ফারুক, এম আর খান মামুন ও যুবলীগ নেতা শেখ লালু ২৫-৩০ সহযোগী নিয়ে গত ৬ জুন দুপুর ১২টার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় পাবনার গণপূর্ত অফিসে প্রবেশ করেন। ওই দিন অস্ত্র নিয়েই তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই সময় তাদের সঙ্গীরা বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। ১২টা ১২ মিনিটে তারা ফিরে যান। ১২ জুন সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি ভাইরাল হলে শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সশস্ত্র অবস্থায় গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করা আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্র দুটি পুলিশ শনিবার রাতে জব্দ করেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে