মুশফিকুর রহিমের ঐতিহাসিক শততম টেস্টে জয়ের ভিত গড়ে উঠেছিল চতুর্থ দিনেই। শেষ দিনে দরকার ছিল মাত্র চারটি উইকেট। তবে আইরিশ ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফারের দুর্দান্ত প্রতিরোধ স্বাগতিকদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ করে। সকালের সেশনে ড্রয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব বাধা পেরিয়ে মিরপুর টেস্টে ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে মুশফিককে স্মরণীয় উপহার দিল নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিল টাইগাররা।
৫০৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। শেষ দিনে ক্যাম্ফার এক প্রান্ত ধরে রেখে ২৫৯ বল খেলে অপরাজিত ৭১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। তাঁকে ভালো সঙ্গ দেন গ্যাভিন হোয়ে, ১০৪ বলে ৩৭ রান করে দলকে কিছুটা আশা দেখান তিনি।
তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা আবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। ক্যাম্ফারকে ছাড়া অন্য প্রান্তে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ একে একে বাকি চার উইকেট তুলে নিলে ১১৩.৩ ওভারে ২৯১ রানে শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। দুজনই শিকার করেন ৪টি করে উইকেট।
এর আগে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ৪৭৬ রান। জবাবে তাইজুল ইসলামের চার উইকেটের নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ড থামে ২৬৫ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তুলে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান এবং ইনিংস ঘোষণা করে। মাহমুদুল হাসান জয় ৬০, সাদমান ইসলাম ৭৮ এবং মুমিনুল হক ৮৭ রান করেন। শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিক—দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিরাপত্তাহীনতায় পপি
বারবার ছোট ছোট ভূমিকম্প কিসের ইঙ্গিত?
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ