রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘যুব ম্যারাথন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি মন্তব্য করেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ তিন দফায় ক্ষমতায় এসে দেশকে ছোপ ছোপ রক্ত আর কাড়ি কাড়ি লাশ দিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত একনায়কতন্ত্র কায়েম হয়েছিল, যার পরিণতি জনগণ স্বচক্ষে দেখেছে। দেশ ভাবেছিল, আওয়ামী লীগ সেখান থেকে শিক্ষা নেবে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৭২–৭৫, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালের তিন দফায় ক্ষমতায় থাকার সময়ে দেশের কোনো অঞ্চল নেই যেখানে মানুষ নিহত বা নারী-পুরুষের মর্যাদা লুণ্ঠিত হয়নি। নোয়াখালীতে একটি প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে একজন মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে উদাহরণ দেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণ আশা করেছিল সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও দেশ দুর্ভিক্ষ, নিপীড়ন ও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে শত শত মানুষের লাশ মাঠে পড়ে ছিল এবং দাফনেরও যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “অতীতের সব বস্তাপচা রাজনীতিকে পায়ের নিচে ফেলে নতুন রাজনীতির দিকে এগোতে হবে। আমাদের লক্ষ্য শুধু দলের বিজয় নয়, ১৮ কোটি মানুষের বিজয়। যারা দেশের অগ্রযাত্রার পথে বাধা দেবে, যুবকরাই তাদের প্রতিহত করবে।”
নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “আমরা কোনো আনুকূল্য চাই না। তবে যদি কমিশন কারও প্রতি সামান্যও পক্ষপাত দেখায়, তা বরদাস্ত করা হবে না। শপথ অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশের জনগণকে উপহার দেওয়ার দায়িত্ব কমিশনকেই পালন করতে হবে।”
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
গুলশানে তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত বাসভবন ও অফিস
ডেভিল হান্টে ৯০ দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রলয় চাকী আটক
সিডনির বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: হামলাকারী ভারতের নাগরিক