ষ্টাফ রির্পোটার :
ঈদের আগের দিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। গতকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সব ফেরি চলাচল শুরু হলেও যাত্রীচাপ আছে। সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল দেখা গেছে। এদিকে সড়কপথে ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে দূর গন্তব্যে যাত্রা করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। চরম ভোগান্তির পরও যে কোনো উপায়ে বাড়ি যেতে মরিয়া তারা।
রাত পোহালেই ঈদ। ঈদ উপলক্ষে যারা এখনো গ্রামে যাননি, শেষ মুহূর্তে তাদের চেষ্টা। বুধবার রাত থেকে সব ফেরি চলাচল করলেও মানুষের ঢল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে।
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে, হুড়োহুড়ি আর ঠেলাঠেলি করে ফেরিতে ওঠার প্রতিযোগিতা। স্পিডবোট ও লঞ্চ বন্ধ থাকায় সব চাপ পড়েছে ফেরিতে।
কয়েকজন জানান, গাড়ি বন্ধ করে গরিব মানুষের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। এরপর ভাড়াও বেশি যাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, সদরঘাট দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে যাওয়া যাত্রীগুলো এখানে চলে এসেছে। সেই সঙ্গে লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে।
সড়ক-মহাসড়কে আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক বা ছোট ছোট যানবাহনে চড়ে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। অনেকে আবার হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
তবে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ক্ষাণিকটা চাপ থাকলেও, উত্তরবঙ্গগামী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। এদিকে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাজীপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার