March 13, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, March 12th, 2025, 11:21 am

আজাদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের ৩টি মামলা : পিআইও

আবুল কালাম আজাদ, পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বাসিন্দা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও ছেলে ফজলে রাব্বী রিয়ন এর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করেছেন দূর্ণীতি দমন কমিশন পাবনা কার্যালয়। ৩টি মামলায় মোট ৪ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার আয় বহির্ভুত অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে।

দূর্ণীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্র ধর বাদী হয়ে ৩টি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, পাবনা পৌর শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার শমসের আলীর ছেলে ও শাহজাদপুর উপজেলার পিআইও আবুল কালাম আজাদ(৪৮), তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন(৪৮), ছেলে ফজলে রাব্বী রিয়ন(২১)। তাদের স্থায়ী নিবাস পাবনার সুজানগর উপজেলার হাসামপুরে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, পিআইও আবুল কালাম আজাদ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় চাকরীর সুবাদে অসৎ উপায়ে সম্পদ অর্জন করেন এবং এসব অর্থ তার সন্তান ও স্ত্রীসহ আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছেন। দুদক আঞ্চলিক সমন্বিত পাবনা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ দীর্ঘদিন তথ্য অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পান। এসব সম্পদের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি দাখিল করতেও তারা ব্যর্থ হন। অনুসন্ধানে দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান যে, আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও তাদের ছেলে ফজলে রাব্বী রিয়নের কোনো ইনকাম সোর্স নেই। পিআইও আজাদ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে কোটি কোটি টাকা স্ত্রী পুত্রের নামে গচ্ছিত রেখেছেন। যা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য তাদের ৩ জনের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ৪ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদকে মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত আসামি পিআইও আবুল কালাম আজাদের মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে পিআইও আজাদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করার খবরে পাবনার বিভিন্ন মহলে নানা রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন অনেকেই। কেউ বলছে একজন প্রকল্প কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে শালগাড়িয়ায় আলিশান ৪ তলা বাড়ী, পাবনার গোপালপুরের সবুর টাওয়ারে ৩টি ফ্ল্যাট, ঢাকার উত্তরায় ২টি ফ্ল্যাট, নিজে চড়েন কোটি টাকা দামের হ্যারিয়ার গাড়িতে আর পরিবারের লোকজন চড়েন এলিওন গাড়ীতে। দুই দুইটা ড্রাইভার রাজকীয় চলাফেরা। এসব কি করে সম্ভব ? এর সুষ্ঠ তদন্ত করে এই দূর্ণীতিবাজ পিআইওর  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান এলাকাবাসি।