আজ (১ নভেম্বর) থেকে একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি সক্রিয় সিম রাখতে পারবেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটররা আজ থেকেই ১০টির বেশি সিম থাকা গ্রাহকদের অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এর আগে একজন গ্রাহকের নামে সর্বাধিক ১৫টি সিম ব্যবহার করার অনুমতি ছিল। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন সব অপারেটর মিলিয়ে কোনো এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় রাখা যাবে না।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, “শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম বন্ধ করা শুরু করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে—কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে অথবা *১৬০০২# ডায়াল করে তাঁদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।
অতিরিক্ত সিম বন্ধের ক্ষেত্রে ‘দৈবচয়ন’ বা র্যান্ডম সিলেকশন নীতি অনুসরণ করা হবে। বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, “যদি কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকে, তবে কোনগুলো নিষ্ক্রিয় হবে তা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এলোমেলোভাবে নির্ধারিত হবে। এতে কোনো মানবিক হস্তক্ষেপ বা প্রভাবের সুযোগ থাকবে না।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আগামী মাসগুলোতে সিম ও মোবাইল ডিভাইস একসঙ্গে ট্র্যাক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহারের সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়।
বর্তমানে দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, অথচ প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহক ৫টির কম সিম ব্যবহার করেন, ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশের কাছে, আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোট স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল
জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচন চায় না, সরকারের সঙ্গে থেকে সুবিধা নিতে চায়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় যাচ্ছেন তিন বাহিনীর প্রধান