October 15, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, October 15th, 2025, 6:33 pm

আজ প্রজ্ঞাপন না দিলে কাল ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি শিক্ষকদের

আজকের মধ্যে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে প্রজ্ঞাপন না দেওয়া হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। একই সঙ্গে আগামীকাল দাখিল পরীক্ষা সহ সব পরীক্ষা ও ক্লাসও বন্ধ থাকবে।

এ ঘোষণা দেন শাহবাগে বিকেল পৌনে ৫টায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি জানান, “আমরা বিভিন্নভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। তবে প্রশাসনের সঙ্গে হাতাহাতি বা কোনো ধরণের অশান্তি ঘটানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের আন্দোলন আমাদের আবেগ, শ্রম ও ঘাম জড়িত। প্রশাসনের সহযোগিতায়ই আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিতে সফল হব।”

এর আগে বুধবার দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ অবরোধ করেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে তারা শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ চালান এবং দাবি মেনে নেওয়া না হলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় শাহবাগ মোড়ের চারপাশ কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। গতকাল তারা সচিবালয়ের দিকে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিও সম্পন্ন করেন।

শিক্ষকরা জানান, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো ক্লাস বা পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।

গত সোমবারও দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ছিল, যা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবং পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে করা হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজের ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল।

শিক্ষকরা সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছেন।

গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখানে থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
শিক্ষকরা রোববার ও সোমবার রাতভর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন; কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান।
এনএনবাংলা/