খুলনা ব্যুরো:
খুলনার আড়ংঘাটা থানার শলুয়া স্লুইচগেটের কাছে অবস্থিত আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে, যা সাংবাদিক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এলাকার সন্ত্রাসী সুজন সরকার (৩০), রসুল ফকির (৪৫), ওসমান মোল্লা (২৫), সেলিম মোড়ল (৩০), দিপু সরকার (৩৮) ও সবুজ শেখ (২৭) এবং তাদের সহযোগীরা সন্দেহ করে তার বিরুদ্ধে এই হামলা চালিয়েছে। তারা মনে করে তিনি প্রশাসনকে তাদের অপকর্মের তথ্য দেন এবং সংবাদ প্রকাশ করেন। পরিকল্পিত এই হামলায় প্রেসক্লাবের ৯ বছরের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও জানালা-দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমদাদুল ইসলাম আরও বলেন, সুজন সরকার শুধু সাংবাদিকদের নয়, পুরো শলুয়া এলাকার জন্য আতঙ্কের নাম। সে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। প্রশাসন তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় তার অপকর্মের ফলে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তুহিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সাংবাদিক সমাজ আশা প্রকাশ করেছে, সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন
কুলাউড়া পৌরসভার ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
কুলাউড়ার জুনেলকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ আদালতের
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইমরান, সম্পাদক মুহিত, সাংগঠনিক বদরুল নির্বাচিত