জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, “আমরা আত্মগোপনে চলে গিয়েছি, তবুও খুনি হাসিনার সঙ্গে আপস করিনি।”
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা সদস্য নাসিম উদ্দিন নাসিম, নেতা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার, ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।
স্নিগ্ধ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা এককভাবে দেশের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষ নিপীড়িত হয়েছেন। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার ও অন্যায় করা হয়েছে—এই যন্ত্রণা শুধু আলাইপুরের নয়, পুরো দলের কথাই উল্লেখ করেন তিনি।
তারকা তত্ত্বাবধায়ক নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে বড় হওয়ার কথা স্মরণ করে মীর মাহবুবুর বলেন, আমার বাবা আমাদের ছোটবেলা থেকেই আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে গড়ে তুলেছেন। সেই শিক্ষায় থেকে আমরা খুনি হাসিনার সঙ্গে আপস করিনি।
তরুণ নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশকে তরুণ নেতৃত্বে এগিয়ে নেওয়া হবে। বিভিন্ন দেশে তরুণরা নেতৃত্বে এসে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে; একইভাবে আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনা হবে।
স্নিগ্ধ আরও জানান, মুগ্ধ শহীদ হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারকে বারবার হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা সেসব হুমকিতে দমে যাননি। তিনি বলেন, আমার ভাইকে হত্যার নির্দেশ যে দিয়েছে, তার সঙ্গে আমরা আপস করিনি। যেভাবে বহু বিএনপি কর্মী আত্মগোপনে গিয়েছিল, আমরা ওরা-র মতোই আত্মগোপনে চলে গেছি। তবে আমরা জনগণের সঙ্গে মিলেই এই জুলুম ও নির্যাতনের বিচার নেব।
তিনি দাবি করেন, আমাদের দুই হাজারের মতো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন ও অনেকে স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন—তাদের ক্ষত ও কষ্টের বিচার আমরা অবলম্বন করব।
সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং দলের একতাবদ্ধতা ও বিচার প্রাপ্তির প্রয়াসে এগিয়ে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ভারতের চাল সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে কিনছে সরকার
ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে আগুন
ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ফজলে করিম রিমান্ডে