ব্যবসায়ী আদম তমিজি হকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে মোট ১৮টি মামলা হয়েছে। ঢাকার আল-মোস্তফা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লি. প্রতিষ্ঠানটি এই মামলাগুলো করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনে তমিজি হক পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বিপরীতে ৬৮টি চেক প্রদান করেন। তবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সব চেকই প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফেরত আসে। ফলে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার আদালতে পৃথকভাবে ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়।
৪৮ বছর বয়সী আদম তমিজি হক হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একসময় তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা বিতর্ক, বিশেষ করে চেক জালিয়াতির মতো অভিযোগের কারণে সমালোচিত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১-এর ১৩৮ ও ১৪০ ধারায় এসব মামলা করা হয়েছে। তমিজির পাশাপাশি হক গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) মো. রেজাউল করিম এবং হেড অব প্রজেক্ট অ্যান্ড বিজনেস কন্ট্রোল জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুতের নামও আসামি তালিকায় রয়েছে।
আল-মোস্তফা গ্রুপের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ‘অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না জেনেও আসামিরা চেক দিয়েছেন। এটি স্পষ্ট প্রতারণা। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের পাওনা ফেরত চাই।’
প্রতিষ্ঠানটির লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আজাজ ফয়সাল জানান, মামলাগুলো আদালতে চলমান থাকলেও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভুক্তভোগীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও আদম তমিজি হকের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। গত বছর ২৩ মে টাঙ্গাইলের একটি আদালত কেবিসি অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেডের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ওই মামলায় প্রায় ২০ লাখ টাকার দুটি চেক ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্তির চেষ্টা করছে সরকার
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি