অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে দিনদিন তীব্র হচ্ছে খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য মতে, দেশটিতে প্রায় দুর্ভিক্ষে জীবন কাটাচ্ছে ৮৭ লাখ মানুষ। যা গত বছরের তুলনায় ৩০ লাখ বেশি। চরম মানবিক সংকটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে কয়েক দশক ধরেই বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের আমলেও খুব একটা উন্নতি হয়নি পরিস্থিতির। দীর্ঘ দিন ধরে চলা খরা দুর্ভোগে যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৫ আগস্ট কাবুল তথা গোটা দেশের দখল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় বেড়েছে বিপত্তি। দেশটিতে সহায়তার অর্থপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এদিকে আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের প্রায় এক হাজার কোটি ডলার যুক্তরাষ্ট্র আটকে দেয়ার পর হাত গুটিয়ে নেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। আন্তর্জাতিক মহলের অসহযোগিতার খেসারত দিচ্ছে বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল আফগানিস্তানের মানুষ। জাতিসংঘের হিসেবে আফগানিস্তানের ৬০ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। দুর্ভিক্ষ সদৃশ জীবন কাটাচ্ছে ৮৭ লাখ, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ লাখ বেশি। হাসাপাতালে বাড়ছে পুষ্টিহীন শিশু রোগীর সংখ্যা। গত দুই-তিন মাসে পুষ্টিহীন শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, অর্থাভাবে ঠিকমত খাবার জোটে না তাদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশে আটকে থাকা আফগান সম্পদ ও বিদেশি সহায়তা বন্ধ হয়ে । যাওয়ায় লাখো আফগান মাস শেষে পারিশ্রমিকটুকুও পাচ্ছেন না। ফলে মেটানো যাচ্ছে না মৌলিক চাহিদা। বাড়ছে খাদ্য ঘাটতি, অপুষ্টির শিকার শিশুর সংখ্যা।
আরও পড়ুন
‘উপদেষ্টাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তাঁদের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে’
ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদের বড় অংশ জব্দ করা হবে: গভর্নর
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদির