অনলাইন ডেস্ক :
অনেকটা চাপা স্বভাবের বলে অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাস কেমন করবেন-সেটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করে লিটন বুঝিয়ে দিয়েছেন- কীভাবে সাফল্য অর্জন করতে হয়। তামিমের ইনজুরিতে হুট করে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তার পর তো শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে সাত বছর পর আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের গৌরব অর্জন করা তারই নেতৃত্বে। অধিনায়ক লিটনকে তাই পাসমার্ক দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অধিনায়কত্বের সুযোগ আসলে, সেটি সাদরে গ্রহণ করবেন বলেই জানিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অথচ কী আশ্চর্য, ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে শুরুর আগেই এমনটা হবে বলে জানতেন লিটন। প্রেস কনফারেন্স রুমে বলেছিলেন, সিরিজ জয়ের কথা। শুরুতে হয়তো লিটনের কথাকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু মাঠে লিটন সেটা ঠিকই প্রমাণ করেছেন। ফিল্ডার, বোলারদের সঙ্গে দারুণ সমন্বয় যেমন ঘটাতে পেরেছেন। তেমনি বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডারদের তাতিয়ে দেওয়া থেকে সবকিছুতেই ছিল অধিনায়কোচিত সম্পৃক্ততা। তারপরও দারুণ সাফল্যের পর সেই তামিমের কাছেই অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে তাকে। তবে বিকল্প হিসেবে লিটন নিজেও তৈরি। এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই বিসিবি সুযোগ দিলে আবারও এই কাজ (অধিনায়কত্ব) করবো। তবে আমি খুশি। তারা আমাকে সুযোগটি দিয়েছে বলে।’ সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, নেতৃত্ব করতে গিয়ে কোন রকম সমস্যায় পড়তে হয়নি তাকে। পুরো সময়টাই নাকি উপভোগ করেছেন, ‘আমি অনেক খুশি। দলের সবাই যেভাবে সহায়তা করেছে। মাঠে কখনো সেভাবে চাপ বোধ করিনি। প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জয়, এর চেয়ে বড় কিছু হয় না। শেষ ম্যাচটি জিতলে হয়তো বেশিই ভালো হতো। তবে সব মিলিয়ে খারাপ না।’ প্রথম দিনের সংবাদ সম্মেলনের কথা মনে করিয়ে শেষ সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, ‘প্রথম প্রেস কনফারেন্সে আমি একটা কথাই বলেছিলাম, আমার দলের মধ্যে বিশ্বাসটা আছে। কে যেন প্রশ্ন করেছিলেন সিরিজের ট্রফি রেখে দিতে চাই কি না? আমি অবশ্যই হ্যাঁ বলেছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে বা খেলোয়াড় হিসেবে যখন এমন বড় একটা সিরিজ খেলবো, তখন চাওয়া থাকবে সিরিজটা যেন জিতি। আমরা হোমে সিরিজটা খেলেছি। তো এর থেকে বড় কিছু নেই যে সিরিজ জিতেছি।’
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?