May 14, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 13th, 2025, 5:59 pm

আবু সাঈদকে মরণোত্তর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দাবি

আবু সাঈদ/ ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে মরণোত্তর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ১৮তম নিবন্ধন ফলপ্রত্যাশীরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা প্রার্থী। আমাদের ভাইভা প্রায় শেষ। তাই ভাইভা শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল এবং ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি যাতে দেওয়া হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তরুণ বেকার সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন একটি ঐতিহাসিক শিক্ষক নিবন্ধন। কেননা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ বেঁচে থাকতে স্কুল-২ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো ভাইভায় অংশগ্রহণ করতেন ও শিক্ষকতা পেশায় কর্মজীবন শুরু করতেন। এ নতুন বাংলাদেশে তার অবদান অপরিসীম। আমরা ১৮তম নিবন্ধন প্রার্থীরা চাই, তাকে সম্মানসূচক মরণোত্তর শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ দেওয়া হোক।

আবু সাঈদকে মরণোত্তর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়ার দাবিচিঠিতে আরও বলা হয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ ও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, শহীদ আবু সাঈদকে সম্মানসূচক মরণোত্তর সনদ দেওয়া, স্বয়ংক্রিয় এমপিও চালু, সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে পাস করানো ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রদান ও এনটিআরসিএ’র আইন ও পরিপত্র যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন আবু সাঈদ। ১৬ জুলাই পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ওইদিন হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

একই বছরের ১৪ অক্টোবর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন আবু সাঈদ। তিনি তিনি ইবতেদায়ী জেনারেল শিক্ষক (ইংরেজি ও বাংলা বিষয়) পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। শাহাদতবরণ করায় তিনি মৌখিক পরীক্ষায় আর অংশ নিতে পারেননি।

জানা গেছে, আবু সাঈদ ২০০১ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। স্থানীয় জাফরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপরে স্থানীয় খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।

২০১৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। ২০২০ সালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।