অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরটা দারুণ কেটেছে মেহেদী হাসান মিরাজের। নিজের ফর্মটা নতুন বছরেও ধরে রাখতে চান এই অলরাউন্ডার। বিপিএল দিয়েই মিরাজের নতুন বছরটা শুরু হচ্ছে। এটি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক সাফল্যের স্বাদ পাওয়ার সুযোগ তাই এখান থেকে নেই। তবে বছরের শেষে যখন আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপও, তখন এর প্রস্তুতি বিপিএল থেকে শুরু করতে তো আর কোনো বাধা নেই। ৬ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। যাতে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন মিরাজ। মিরপুরের একাডেমি মাঠে সেই দলটির প্রস্তুতিও শুরু হলো সোমবার থেকেই। তো সেই অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে এসে বছরের শুরুতেই শেষের বিশ্বকাপ ভাবনার কথা বললেন মিরাজ, ‘২০২৩ সালে আমাদের বড় ইভেন্ট আছে। সেটি বিশ্বকাপ। অবশ্যই বিশ্বকাপকে ঘিরে আমাদের সব পরিকল্পনা করা হবে। আমি নিজেকে সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত করব যে কিভাবে আরো উন্নতি করা যায়। বিশ্বকাপ ভারতে হবে। এর আগে আমাদের অনেক ম্যাচ ও সিরিজ আছে। আমরা যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি নিই, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো।’ বয়সভিত্তিক পর্যায়ের পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে কেবলই অফস্পিনারের সীমানায় নিজেকে বেঁধে ফেলেছিলেন। সেই বাঁধন ছিঁড়ে আবার নিজেকে পরিপূর্ণ অলরাউন্ডারে পরিণত করার পথে শেষ হওয়া বাইশে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপটি ফেলেছেন মিরাজ। দেশের মাটিতে ব্যাট হাতেও ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নায়ক নতুন বছরে নিজেকে আরো মেলে ধরতে চাইবেন স্বাভাবিক। সে জন্য বরিশালের হয়ে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকেই জায়গা পাওয়ার দাবিও জানিয়ে রাখলেন। ২০১৯-২০ বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে ওপেন করে সাফল্য পেয়েছিলেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে গত আসরেও বেশির ভাগ ম্যাচে মিডল অর্ডারেই ব্যাটিং করেছেন। গত বছর জাতীয় দলের হয়েও বেশ কিছু ম্যাচে ওপেন করেছেন। এই ভূমিকায় খুব কার্যকর না হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিংয়ে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। এই প্রথমবারের মতো বিপিএলে বরিশালের হয়ে খেলার আগে ব্যাটিং অর্ডারে নিজের জায়গা নিয়ে মনোভাব অস্পষ্ট রাখলেন না, ‘এই ব্যাপারে (ব্যাটিং পজিশন) সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এখনো সময় আছে। টিম ম্যানেজমেন্টই জানাবে যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করব। দলের চাহিদানুযায়ী আমাকে যেখানেই খেলাবে, সমস্যা নেই। সব সময় এই কথাটিই বলে এসেছি আমি। তবে আমি নিজে ওপরের দিকেই ব্যাটিং করতে চাইব। তাদেরও (দলের) বিশ্বাস আছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়!’ যা-ই হোক না কেন, আসরের শেষে নিজেদের ঘরে ট্রফি দেখে একটি অপূর্ণতাও ঘোচাতে চান এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। এর আগে দুইবার বিপিএলের ফাইনাল খেলেছেন। প্রথমবার ড্যারেন সামির নেতৃত্বে রাজশাহী কিংসের হয়ে। ২০১৬-১৭-এর সেই আসর আবার মিরাজের প্রথম বিপিএলও ছিল। ২০১৯-২০-এর আসরে খুলনা টাইগার্সের হয়ে ফাইনাল খেলে আবার হতাশ হতে হয় তাঁকে। শিরোপায় এবার সেই হতাশা মুছে যাবে বলেই আশা তাঁর। সেই আশার ভিত বরিশালের ‘প্রায় জাতীয় দল’ নিয়ে নামার শক্তি, ‘আমাদের দলটি খুবই ভালো হয়েছে। সাকিব ভাই আছেন, গত বছরও তিনি এই দলেই খেলেছেন। রিয়াদ (মাহমুদ উল্লাহ) ভাই আছেন, আমি আছি। এবাদত আছে, খালেদ আছে। জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় আমাদের। আশা করছি, অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হব। এই নিয়ে ছয়বার বিপিএল খেলব। দুইবার ফাইনাল খেলে একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এবার আশা করি চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নিতে পারব।’
আরও পড়ুন
মেসির দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জয় দিয়ে টি–টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
তামিমের অর্ধশতকে দেড়শ’র আগেই থামল ঢাকা