আমার বুকের মানিকের পুরো শরীর আগুনে ঝলসে গেছে। অনেক কষ্ট পেয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলো। শেষ বেলায় ওর জন্য কিছুই করতে পারিনি। এটাই আমার দুঃখ।
চোখে জল নিয়ে কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী উক্যচিং মারমার বাবা উসাই মং মারমা।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী থেকে ঢাকায় ছুটে যাই। কিন্তু ছেলের সঙ্গে আর কথা বলা হয়নি। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আমার একমাত্র ছেলে।
শিক্ষক দম্পতি উসাই মং মারমা ও তেজিপ্রু মারমার একমাত্র সন্তান উক্যচিং মারমা। উন্নত শিক্ষার জন্য একমাত্র সন্তানকে হোস্টেলে রেখে পড়াতেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
বাবা উসাই মং মারমা বলেন, ছোট বেলা থেকেই পড়ালেখায় ভালো ছিল শান্ত স্বভাবের উক্যচিং। প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ ছিল ছেলেটির। টিভি, মোবাইল বা রাস্তায় গাড়ি দেখলেই বলে দিতে পারতো গাড়ির নাম। ধ্যানে জ্ঞানে সব সময়ই তার আগ্রহের বিষয় ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং। সৃজনশীলতাও ছিল ওর মধ্যে। গিটার বাজিয়ে গান গাইতো। এখন প্রতিটি মুহূর্তে স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছি আমরা। ওর জন্য কিছুই করতে পারিনি।
নিহত উক্যচিং মারমার গ্রামের বাড়ি রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কলেজপাড়া এলাকায়। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় বাঙ্গালহালিয়া হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় মারমা শ্মশানে উক্যচিং মারমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন
দুর্নীতির টাকায় বেনজীর ও তার পরিবারের লাগামহীন বিলাসিতা
‘পলক ভাই, কাইন্দেন না’
বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ ৮ শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক, চিকিৎসাধীন ৪৪