নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেছেন,ওবায়দুল কাদেরের মতো আমার কোনো ভাই মেয়র বা ভাগিনা চেয়ারম্যান হবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। এর জন্য আমার বাসায় মাছ-মাংস বা দধি নিতে হবে না। আর আপনাদের ভোটে আমি নির্বাচিত হলে আমার সঙ্গে দেখা করতে কোনো মামা, খালুর দরকার হবে না।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে কবিরহাটের জিরো পয়েন্টে নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলেও সবাই আমাকে পছন্দ নাও করতে পারেন।
অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। সকলের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, সকলেই যোগ্য। কিন্তু নীতি অনুযায়ী মনোনয়ন তো একজনকেই দিতে হবে। সকলকে তো আর দেয়া সম্ভব না। এখানে অনেকে আছেন আমার চেয়েও যোগ্য। হয়তো দলের প্রধান তাদেরকে আরও যোগ্যতম জায়গায় দায়িত্ব দিতে পারেন। হয়তো আমারও চেয়েও আরও মূল্যবান জায়গায় দিতে পারেন। দল যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আমার কোনো গ্রুপ নাই। বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন সবটাই আমার দল। বিএনপির বাইরে আমাদের কারও উপদল নাই। আমি মনে করি এখন থেকে আমরা সবাই একদল, একদলের কর্মী, এক দলের অনুসারী।
তিনি বলেন, আমাদের দলের প্রধান তারেক রহমান বলেছেন আগামী নির্বাচনে আমাদের দৃশ্যমান প্রতিপক্ষ আছে আবার অদৃশ্যমান প্রতিপক্ষও আছে। আজকে যারা অদৃশ্য শক্তি তারা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের লেজ রেখে গেছে। তারা লেজ দিয়ে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।’
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাই, আমাদের দল একটা, দলের মার্কা একটা, দলের প্রধান একজন। সেই দলের প্রধান আমার মতো একজন সাধারণ মানুষকে আপনাদের খাদেম হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করব, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে কোনো মামা, খালুর দরকার হবে না।
‘আমার জন্য ইলিশ মাছ, দই নিতে হবে না। আমার কোনো ভাই নাই, যে পৌরসভার মেয়র হবে কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হবে। যেমনটা হয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই মেয়র, তিন ভাগনে ইউপি চেয়ারম্যান।
বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে স্মরণ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, কোম্পানীগঞ্জ এবং কবিরহাটের অধিকাংশ উন্নয়ন হয়েছে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের হাত দিয়ে। এ সময় তিনি মওদুদ আহমেদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।’
তিনি বলেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, রাষ্ট্রপতি ছিলেন। গত ২০১৮ এর নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আমাদের নেতাকে ঘর থেকে বের হতে দেয় নাই। আমরা সেই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেবো ভোটের মাধ্যমে।’
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় এবং জেলা বিএনপির সদস্য কামরুল হুদা চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মো. হারুনুর রশিদ আজাদ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম হায়দার বিএসসি, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান-ই-আলম, জেদ্দা বিএনপির সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ রহমত, জেলা বিএনপির সদস্য সহিদুল ইসলাম কিরন, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল হক, আমিনুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।

আরও পড়ুন
সিলেটে ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ’ ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ব্রাক্ষণপাড়া পুলিশের টহল জোরদার
রংপুরে বিসিএস প্রভাষকদের “নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালন