নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে আলুর বাম্পার ফলন হলেও লোকসানের ঘানি টানছে হাজার হাজার চাষী। আলুর বাম্পার ফলন নিয়ে সরকারের কোনো বিশেষ পরিকল্পনাও নেই। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পথে প্রান্তরে ভ্যানে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৭ কেজি আলু। আর ২-৪ টাকা কেজিতে মাঠে আলু বিক্রি হচ্ছে। তাতে আলু চাষীদের উৎপাদন খরচই উঠছে না চাষীদের। ফলে আলু বাম্পার ফলনেও চাষীদের দুর্ভোগ কমছে না। ভুক্তভোগী আলু চাষী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার অনেক আগে থেকেই বিদেশে আলু রফতানির চিন্ত করছে। ওই লক্ষ্যে একাধিক মন্ত্রণালয় ও সংস্থাও কাজ করছে। প্রতি বছর দেশে আলুর চাহিদা ৮০ লাখ মেট্রিক টন। গতবছর দেশে এক কোটি ১৩ লাখ টান আলু উৎপাদিত হয়েছে। আর এ বছর তা বেড়ে প্রায় দেড় কোটি টনের মতো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি আলুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়াও বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর আলু আমদানি করতো। তবে এখন তা বন্ধ রয়েছে। ওসব দেশসহ আরো কিছু দেশের আলুর চাহিদার বিষয়ে সরকার খোঁজখবর নিচ্ছে। সেজন্য বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কমার্শিয়াল উইংগুলোকে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।
সূত্র জানায়, আলুতে ব্রাউন রোড ডিজিস নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়ায় রাশিয়া কিছুদিন আলু নেয়া বন্ধ রাখলেও ওই আপত্তির নিরসন হয়েছে। বাংলাদেশের সব আলু এখন ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। তারপর রাশিয়া আলু আমদানিতে কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। পাশাপাশি আলুচাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য অতিরিক্ত আলু রফতানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারও চায় আলু চাষে কৃষক যেন আগ্রহ না হারায়।
সূত্র আরো জানায়, বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আলু রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাংলাদেশ থেকে আলু রফতানি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তার মধ্যে মালয়েশিয়ায় বেশি রফতানি হয়েছে। তাছাড়া সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ব্রুনাই, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশেও এদেশের আলুর চাহিদা রয়েছে। আলু রফতানিতে সরকার কয়েক বছর ধরেই ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ২০১৬ সালে তা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এখন তা আবার ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক যাতে লোকসানে না পড়ে সেদিকে নজর রেখে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও ৪৩ টি পণ্যের শুল্কহার বৃদ্ধি নিয়ে ঢাকা চেম্বারের উদ্বেগ
২০২৪ সালে ৪০ কোটি টাকার বীমাদাবি প্রদান করলো প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স
চালের বাজার সহনীয় রাখতে প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস: অর্থ উপদেষ্টা