সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশ ও অটো রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে শহরের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ‘আমার স্কুলের’ সামনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মহাসড়কে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকেরা গত শনিবার থেকে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় রিকশা-ভ্যান চালকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরের দিকে ‘আমার স্কুলের’ কাছে মহাসড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালনকালে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে অবরোধে বাধা দিলে অটোরিকশা ও ভ্যান চালকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক মোতালেব, রিপন, সুবাস, দ্বীন ইসলাম ও সিরাজুলের নাম জানা গেছে। তাদেরকে স্থানীয় একাধিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্য আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনার এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মহাসড়কে অটোরিকশা ও ভ্যান চালকদের জরিমানার নামে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি এবং হয়রানির অভিযোগ তুলে তা বন্ধে ওই এলাকার দুই শতাধিক শ্রমিক তিনদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। সোমবার ছিল কর্মসূচির শেষ দিন।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, মহাসড়ক অবরোধের ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশসহ আমাদের টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, পুলিশ আহতের ঘটনায় এক মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বিএনপির রাজনীতি জনকল্যাণে নিবেদিত- প্রিন্স
রংপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ৭৩টি বাইসাইকেল বিতরণ
রংপুরে বিএডিসি বীজ ডিলারদের সার ডিলার করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান