অভিনেতা ও সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ৩টি ফ্ল্যাট এবং ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে গত ৩০ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দেড়শ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ মোট ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন।
এছাড়া তার নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগও আনা হয়েছে।
দুদকের তদন্তে দেখা যায়, আসাদুজ্জামান নূরের মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত তার বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা এবং এ সময়ে পারিবারিক ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। এতে তার নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। তবে এর বাইরে থাকা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা ‘অসাধু উপায়ে অর্জিত’ বলে ধারণা করছে দুদক।
এছাড়া তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসহীন ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলনের তথ্যও পাওয়া গেছে। দুদকের মতে, এসব লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় পড়ে।
এনএনবাংলা/.
আরও পড়ুন
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন নাহিদ ইসলাম
১৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর