ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে আসাম থেকে পুশ ইন হওয়া ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগমকে (৬৮) জামিন প্রদান করেছেন।
সখিনা বেগমের পক্ষে আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক শুনানি করেন। তিনি আদালতকে জানান, সখিনা বেগম ইচ্ছা করে বাংলাদেশে আসেননি, বরং জোরপূর্বক পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার ধারা অনুযায়ী এই অভিযোগে জামিন দেওয়া সম্ভব। আদালত শুনানি শেষে সখিনাকে জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ সখিনাকে ঢাকার ভাষানটেক বস্তির একটি গলির প্রবেশপথ থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার বাড়ি ভারতের আসামের নলবাড়ি জেলার বারকুরা গ্রামে। যদিও তিনি কিছু বাংলা ও আঞ্চলিক অসমীয়া ভাষা বলতে পারতেন, তবে পাসপোর্ট বা ভিসা দেখাতে পারেননি। পুলিশের বরাত দিয়ে অভিযোগে বলা হয়, তিনি কীভাবে ঢাকায় পৌঁছেছেন তা জানাতে পারেননি। আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর কয়েক দফা জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হলে সখিনার জামিন নামঞ্জুর হয়, এরপর তিনি আদালতের হাজতখানায় অঝোরে কাঁদেন।
স্থানীয় ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, সখিনা বেগমকে মে মাসে তার বাড়ি থেকে হেফাজতে নেয় আসাম পুলিশ, এবং দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিলেন। জুনের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় রাস্তার পাশে এক পথচারী তাকে খুঁজে পান।
পুলিশের ধারণা, সখিনা বেগমকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে আনা হয়েছে। মামলাটি ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’ এর অধীনে দায়ের করা হয়েছিল।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
বডি শেমিংয়ের শিকার মুশফিক: ইস্ট ওয়েস্ট শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুতে তদন্তের দাবি পরিবারের
হাসিনা ও কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি
ভূমিকম্পের পর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা