December 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, November 23rd, 2024, 9:42 pm

আ. লীগের পুনর্বাসন সম্পর্কে যা বললেন পার্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাসিত আওয়ামী লীগ। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক পুনর্বাসন সম্পর্কে কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এখন পর্যন্ত রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে।

বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের ঘর থেকে সাধারণ মানুষ বের হতে দেবে না। যারা গণহত্যায় বিশ্বাস করে সেসব দলকে বাতিল করার জন্য সংবিধানে কমিশন থাকা প্রয়োজন। তা না হলে সামনে আবার এই ধরনের রাজনৈতিক দলের উত্থান হতে পারে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

পার্থ বলেন, সংবিধানে সংস্কার প্রয়োজন হলে সবার আগে জনগণের সরকার প্রয়োজন। জনগণের নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সংবিধান সংস্কার করা উচিত।

ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, বর্তমান এই সংবিধান দ্বারা দেশ পরিচালিত হলে যেকোনো সরকারই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাবে। এই সংবিধানকে ব্যবহার করে বারবার মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে।

যে সংবিধান মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সংবিধান মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও দ্বিপক্ষীয় পররাষ্ট্রনীতির চুক্তিগুলো জনগণের অগোচরে যেন না হয় সে বিষয় উল্লেখ করে ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, জনগণের সামনে যেকোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারটা অবশ্যই সংবিধান নিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিত। মাদক প্রতিরোধে সংবিধানে আরো জোরাল আইন থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে তাদের জন্য অর্থনৈতিক রাষ্ট্রদ্রোহী আইন করা প্রয়োজন।

যাদের কারণে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিচার করতে হবে।
ভবিষ্যতে যারাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসুক তাদের আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার পার্থ। তিনি বলেন, ‘আধুনিক ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি আমরা বাংলাদেশের চাই না।’