March 1, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 27th, 2025, 1:32 pm

ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদানের আশা ছেড়ে দিতে পারে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি: এএফপি

অনলাইন ডেস্ক:

ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ বা মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টির আশা ভুলে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদ হস্তান্তর বিষয়ে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছেন। তার আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এমন মন্তব্য করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইউরোপীয় মিত্রদের নিতে হবে এবং তিনি দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান।

হোয়াইট হাউজে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, এটি ইউক্রেনের জন্যেও একটি চমৎকার চুক্তি। কারণ আমরা সেখানে থাকবো। আমাদের উপস্থিতির কারণে কেউ ঝামেলা করবে না।

তবে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ওয়াশিংটন কিয়েভকে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি এ বিষয়ে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবো না। এটি ইউরোপের দায়িত্ব, কারণ ইউক্রেন তাদের প্রতিবেশী। তবে আমরা নিশ্চিত করবো যে সব কিছু ভালোভাবে চলবে।

যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনকে কী কী ছাড় দিতে হবে, এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদের সম্ভাবনা নেই। তিনি আবারও রাশিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, সম্ভবত এ কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে। ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না—এটা ভুলে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের ভবিষ্যতে ন্যাটো সদস্যপদ সমর্থন করেছিলেন, যদিও নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেননি তিনি।

ট্রাম্প দাবি করেন, তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আপস করতে উৎসাহিত করছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি (পুতিন) অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং চতুর মানুষ। আমি মনে করি, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি। যদি আমি নির্বাচিত না হতাম, তবে পুতিন ইউক্রেন দখল অব্যাহত রাখতেন।

এদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সোমবার ট্রাম্পকে বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো একটি শান্তিচুক্তি কার্যকর করতে সৈন্য মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনই মূল নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একই বার্তা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।