August 7, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 7th, 2025, 4:20 pm

ইউসিবির অর্থ আত্মসাতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী ইউসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান/ ছবি: সংগৃহীত

 

নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার স্বজনকে ব্যবসায়ী সাজিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী ইউসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর আগে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিল দুদক। বৃহস্পতিবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহা. শোয়াইব ইবনে আলম।

এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে জাবেদ, তার স্বজন ও ইউসিবিএল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে তিনটি মামলা করল দুদক। গত ২৪ জুলাই ও ৩১ জুলাই মোট ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আগের দুটি মামলা হয়েছিল।

দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবারের মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী ও ইউসিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান (৪৬), বোন রোকসানা জামান চৌধুরী (৫৬), আফরোজা জামান চৌধুরী, ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউসিবিএলের ‘করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশন ও ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন’র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ওই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল। এর পরও সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মাধ্যমে ‘প্রভাবিত’ হয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঋণ অনুমোদন করা হয়।

মামলার বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারি সৈয়দ কামরুজ্জামানের ফুফাত ভাই সৈয়দ নুরুল ইসলামকে ‘ক্রিসেন্ট ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজানো হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ইউসিবিএলের চট্টগ্রামের জুবলী রোড শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির নামে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ২৫ কোটি টাকা আবেদন করা হয়। ব্যাংকের কর্মকর্তারা ঋণ আবেদনকারীর পরিচয়, স্টক, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মিথ্যা তথ্যে ‘সন্তোষজনক’ প্রতিবেদন দাখিল করে ২৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের সুপারিশ করে তা ব্যাংকের কর্পোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে পাঠায়।

এনএনবাংলা/আরএম