অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সোমবার হোয়াইট হাউসে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময়ে উভয়ে ওয়াশিংটন ও কুইটোর মধ্যে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। ল্যাসো বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে সাংবাদিকদের কাছে তিনি মাদক পাচার বিরোধী লড়াইয়ের খরচ ভাগাভাগি করার কথা তুলে ধরেছিলেন। এছাড়া দেশটির অন্যতম প্রধান সমস্যা প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর মধ্যকার সংঘাত ও লড়াই। কারাগার ও রাস্তায় এ ধরনের সংঘর্ষে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে শত শত লোক নিহত হয়েছে। এমনকি ল্যাসো সরকার দেশটির কিছুকিছু এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্বের দুই কোকেন উৎপাদনকারী দেশ কলম্বিয়া ও পেরুর মাঝে অবস্থিত ইকুয়েডরে মাদক পাচারকারী গ্রুপগুলোও সক্রিয় ও দ্বন্দ্বে জড়িত। এ প্রেক্ষিতে দেশ ছাড়ার আগে খরচ ভাগাভাগির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেছেন, লড়াই এখানে হচ্ছে। কিন্তু সুবিধাভোগীরা কেবল ইকুয়েডরের তরুণ ও শিশুরা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ ও শিশুরাও। ইকুয়েডরের হিসেবে, এই যুদ্ধে জিততে তাদের পাঁচশ’ কোটি মার্কিন ডলার দরকার হবে। হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে আভাস দিয়েছে, জাতিগত ও দলবদ্ধ সহিংসতা দমনে কিভাবে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো বাড়ানো যায় তা খতিয়ে দেখবে। এদিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে বাইডেন ল্যাসোকে বলেছেন, অভিবাসন ক্ষেত্রে আমরা ঐতিহাসিক অগ্রগতি করেছি। আমাদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব কিভাবে আরো গভীর করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। গত ১৪ বছরে ইকুয়েডরের প্রথম রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ল্যাসো উভয়ের এ বৈঠককে আমেরিকান জনগণের সাথে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার মূল্যবোধ ভাগাভাগি করার চলমান প্রক্রিয়া পুনরায় নিশ্চিতের সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ল্যাসো বলেছেন, যে কটি আমেরিকান দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে ইকুয়েডর তার একটি। এছাড়া ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের মতো ইকুয়েডরও চীন মার্কিন উত্তেজনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সচেষ্ট।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য