মোঃ মোজাহেদুল ইসলাম
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, দেশে তিনটি স্তরে নতুনভাবে ইন্টারনেটের দাম কমানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, “সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে ইন্টারনেটের পাইকারি মূল্য ইতিমধ্যেই কমানো হয়েছে। এখন জাতীয় স্তরের মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর সময় এসেছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটরের প্রতি দুটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন—
১. মার্চ মাসে এসআরও সমন্বয়ের নামে যে বাড়তি মূল্য আরোপ করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা।
২. আইটিসি (আন্তর্জাতিক গেটওয়ে), আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এবং এনটিটিএন (ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন) পর্যায়ে যে হারে পাইকারি দাম কমেছে, সেই অনুপাতে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানো।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে এসব দাবি উত্থাপন করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়েছে। সরকার আশা করছে, বাকি তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর— গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকও খুব শিগগিরই যৌক্তিক মূল্যছাড়ের ঘোষণা দেবে।
তবে এখনো এই তিনটি অপারেটর চুপ রয়েছে। তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, বিষয়টি তারা বিবেচনায় নিচ্ছে এবং অ্যামটব-এ (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
একজন অপারেটরের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সরকার চাপ দিচ্ছে, আর অন্য স্তরগুলো যখন দাম কমাচ্ছে তখন আমাদেরও কিছু না কিছু করতে হবে। আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হয়তো শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, ইতোমধ্যে ফাইবার অ্যাট হোম নিশ্চিত করেছে যে তারা তিনটি স্তরে দাম কমাবে— আইটিসি ও আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ করে এবং এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ। এছাড়া আইএসপি লাইসেন্সধারী কোম্পানিরা ৫ এমবির জায়গায় ১০ এমবি ইন্টারনেট ৫০০ টাকায় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিও আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে আইআইজি ও আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে, অর্থাৎ মোট ২০ শতাংশ মূল্য হ্রাস করেছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ইন্টারনেট মূল্যে এই হ্রাসমূলক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে তিন-চারটি স্তরে বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি আছে কেবল মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানো।”
তিনি আরও জানান, সরকার ইতোমধ্যে বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের ডিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার ব্যবহারের সুবিধা দিয়েছে, সুতরাং এখন আর দাম না কমানোর কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জোর দিয়ে বলেন, “সরকার ইন্টারনেটের দাম কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম এখনও মানের তুলনায় অনেক বেশি। গ্রাহকের স্বার্থে যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন
ভিভো V30 Pro কেনার আগে জেনে নিন এই ৫টি বড় সমস্যা
ভুল করেও কিনবেন না এই ৫টি স্মার্টফোন! জেনে নিন কারণ
পৃথক মামলায় আমু-আনিসুলসহ ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো