কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক বাক-বিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
তবে আহতদের মধ্যে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র তানভীর আহমেদ, আইন বিভাগের রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য এবং সুরুজ আলী নামে একজন বহিরাগত রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গড়াই নামের একটি লোকাল বাসের হেলপারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি ঘটে।
এক পর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন হেলপারসহ লাঠি, ইট ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে ১৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
পরে স্থানীয়রা মাইকে ঘোষণা দিয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশের একটি দল রাস্তা থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে বি্শ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন ও শফিকুল ইসলামসহ ইবির প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, শিক্ষার্থীরা বাসের কর্মকারীদের হয়রানির কথা জানালেও ইবি কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলো ফার্স্টলুক, কবে মুক্তি পাবে রানির নতুন সিনেমা
গরমে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করা কেন জরুরি?
সিটি কলেজে ভাঙচুর চালাচ্ছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা