নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ এড়াতে ঈদ-যাতায়াত ব্যবস্থায় আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এ জন্য ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ভাঙা সড়কগুলো সংস্কার ও গণপরিবহন সংকট নিরসনে সব রুটে বিআরটিসির বাস চালুর দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি। রমজান মাসকে সামনে রেখে বুধবার (১লা মার্চ) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি এ দাবি জানান। এছাড়া বিবৃতিতে ঈদের আগের ও পরের ১০ দিন সব জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকাবিশিষ্ট ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের যানবাহন নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখি সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ঈদ যাতায়াতে দুর্ঘটনার মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে যেতে পারে। বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, সারাবছরই দেশে অনেক জনবহুল সড়কের বেহাল দশা দেখা যায়। ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে এসব সড়কের মেরামত কাজ শুরু হলেও তা সঠিকভাবে হয় না। এর ফলে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় হয়, অন্যদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থেকে যায়। সেই সঙ্গে বাসযাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে। তাই বেহাল সড়কগুলো অতিদ্রুত মেরামতের দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। সড়কপথে ঘরমুখি মানুষ তীব্র যানবাহন সংকটে পড়েন উল্লেখ করে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বাসস্বল্পতার সুযোগে বিভিন্ন কোম্পানি ভাড়া বাড়িয়ে দেন। অনেক পরিবহন কাউন্টারে বাড়তি ভাড়ার অতিরিক্ত দামেও টিকিট বিক্রি করা হয়। অনেক কাউন্টারকর্মী টিকিট না দিয়ে যাত্রীদের বাসে উঠিয়ে দেন। বাসশ্রমিকেরা ওইসব যাত্রীর কাছ থেকে মাঝপথে জবরদস্তি করে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা আদায় করেন। এছাড়া প্রতি ঈদে অধিকাংশ বাস সার্ভিসের সময়সূচি বিপর্যয় দেখা দেয়। এর ফলে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা তীব্র পরিবহন সংকট ও ভাড়ানৈরাজ্যের দুঃসহ যন্ত্রণা নিরসনে ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে দূরপাল্লার সব রুটে বিশেষ ব্যবস্থায় বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল বাস সার্ভিস’ চালুর দাবি জানান।
আরও পড়ুন
পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা-গুলি, শনাক্ত হয়নি কেউ
শ্যামলীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, খুলে নিয়ে গেলো জামা-জুতাও
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ান মা